—প্রতীকী ছবি।
লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক সমকামী মহিলাকে খুন করার অভিযোগ উঠল তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার এই ঘটনায় ওই তান্ত্রিক-সহ মোট দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা পুনম কুমারী, প্রীতি সাগর নামের আর এক মহিলার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি দু’জনের পরিবারই। তখন ওই তান্ত্রিক পুনমকে লিঙ্গ পরিবর্তনের পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে প্রীতির সঙ্গে তাঁর বিয়েতে কোনও বাধা থাকবে না বলেও জানান তিনি। তার পরই আচার-অনুষ্ঠান পালনের নাম করে ওই তান্ত্রিক পুনমকে গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করেন বলে মৃতের বাড়ির অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনমের বিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর পরিবার অনেক চেষ্টা করলেও কোনও পুরুষকে বিয়ে করতে চাননি তিনি। কলেজে গিয়ে প্রীতির সঙ্গে আলাপ, বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেম হয় তাঁর। এই প্রসঙ্গে শাহজানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, সমাজে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে দুই মহিলার সম্পর্ককে মেনে নেয়নি তাঁদের পরিবার। তাই পুনমের লিঙ্গ পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।”
লখিমপুর খেরির মহম্মদি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অম্বর সিংহ জানান, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের সঙ্গে প্রীতির মায়ের যোগাযোগ ছিল। তান্ত্রিক প্রীতির মাকেই প্রথম পুনমের লিঙ্গ পরিবর্তনের বুদ্ধি দেন। গত ১৮ এপ্রিল লখিমপুর খেরি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ডেকে পাঠানো হয় পুনমকে। গোপনে বাড়ি ছাড়েন তিনি। কিন্তু পুনমের খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ জানায়। নিখোঁজ প্রীতির সন্ধানে নেমে রাম নিবাস নামের তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করে নেয় যে, একটি ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়ে পুনমের গলায় ফাঁস দিতে হয়েছিল। তাতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। গোমতী নদীতে দেহটি ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। তান্ত্রিকের ডেরা থেকে ১১টি হাড় উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় পুনমের মায়ের যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।