গত কাল চুপ করে ছিলেন। আজ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানালেন, অযোধ্যায় রামের মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসছে না তাঁর সরকার। বরং তাঁর দাবি, রামের ওই মূর্তি দিয়েই অযোধ্যাকে চেনা যাবে। রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গেও এ দিন মুখ খুলেছেন যোগী। বলেছেন, ‘‘অযোধ্যায় রামমন্দির ছিল, আছে, থাকবেও। সব রাস্তাই খোলা রয়েছে। তবে মন্দির নির্মাণের বিষয়টি আইন ও সংবিধান মেনেই করতে হবে।’’ অনেকেই মনে করছেন, আইন মেনে মন্দির গড়ার কথা বলে যোগী আসলে অর্ডিন্যান্স আনার জন্য মোদীর উপর চাপ বাড়িয়ে দিলেন।
গত বছরেই যোগী জানিয়েছিলেন, অযোধ্যায় গড়ে উঠবে রামের বিশাল মূর্তি। কিন্তু সেই ঘোষণার বহু দিন কেটে গেলেও মূর্তি গড়তে জমি অধিগ্রহণ করেনি তাঁর সরকার। যোগী সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে গড়ে ওঠা রামলালা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস জানিয়ে দেন, মূর্তি গড়ার পরিকল্পনাকে তিনি সমর্থন করেন না। কারণ তাঁর মতে, ‘‘রামের জায়গা খোলা আকাশের নীচে নয়, মন্দিরে।’’ এর সঙ্গেই জুড়ে যায় মন্দির নির্মাণে সঙ্ঘ পরিবার ও সাধুদের থেকে আসা চাপ। অযোধ্যায় গত কাল দেওয়ালির অনুষ্ঠানে গিয়েও এ নিয়ে স্লোগানের মুখে পড়তে হয় যোগীকে। তা সত্ত্বেও এই দু’টি বিষয় নিয়ে তখন মুখ খোলেননি যোগী।
কিন্তু আজ রামমন্দির আর রামের মূর্তি— দু’টি বিষয় নিয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন যোগী। সকালে অযোধ্যার হনুমানগড়ী মন্দিরে প্রার্থনা সেরে তিনি জানান, ‘পর্যটনের স্বার্থেই’ রামের মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে কবে, কোন এলাকায় এটি গড়া হবে, তা জানাননি যোগী। বলেন, ‘‘ব্যাপারটা নিয়ে আমরা ভাবছি। জমি দেখার পরেই পদক্ষেপ করা হবে। রামের মূর্তি মন্দিরে রাখা হবে। মন্দিরে রামের পুজো হবে। তবে মূর্তিটি অনেক দূর থেকে দেখা যাবে।’’ যোগী জানান, মূর্তি গড়ার জন্য আজই দু’টি জায়গা দেখেছেন তিনি। স্থপতিরা এ নিয়ে তাঁদের মতামত দিচ্ছেন।
যোগী জানান, তিনি আস্থা ও উন্নয়ন— দু’টিকেই সম্মান দিতে চান। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, মন্দির নির্মাণের প্রশ্ন নিয়ে সাধুসন্তরা বিজেপি নেতৃত্বের উপরে মোটেই ক্ষুব্ধ নন। তাঁরা তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন, থাকবেনও। মন্দির নির্মাণে অর্ডিন্যান্স আনা নিয়ে যোগীর মন্তব্য, ‘‘সাংবিধানিক ব্যবস্থার মধ্যেই মন্দির নিয়ে সমাধান করতে হবে।’’