ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে সেনার জিপে যুবককে বেঁধে ঘোরানোর মতো কৌশল সব সময়ে কাজে লাগানো হয় না বলে মন্তব্য করলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। ওই ঘটনায় মেজর নিতিন গগৈয়ের পাশে দাঁড়ানোয় তাঁর সঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকারী ব্রিটিশ জেনারেল ডায়ারের তুলনা হয়েছে। তবে তাতে তিনি ক্ষুব্ধ নন বলে দাবি রাওয়তের।
শ্রীনগর লোকসভা উপ-নির্বাচনের সময়ে পাথর ছোড়া আটকাতে কাশ্মীরি যুবক ফারুক আহমেদ দারকে সেনার জিপের বনেটে বেঁধে ঘুরিয়েছিলেন মেজর গগৈ। এই ‘মানব ঢাল’ ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। মেজর গগৈকে সেনা সম্মানিত করায় বিতর্ক আরও বাড়ে। এক সাক্ষাৎকারে মেজর গগৈয়ের পাশে দাঁড়ান সেনাপ্রধান। ফলে এক নিবন্ধে তাঁকে জেনারেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা করেন সমাজবিজ্ঞানী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবুর সমালোচনা করেছে বিজেপি।
আজ সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘জিপে বাঁধার মতো কৌশল সব সময়ে ব্যবহার করা হয় না। পরিস্থিতি দেখে ওই অফিসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অন্য কোনও উপায় যদি কেউ জানেন তবে আমাদের জানাতে পারেন।’’ জেনারেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ নিবন্ধের লেখক অন্য শিবিরের প্রতিক্রিয়া চাইছেন। আমার এতে প্রতিক্রিয়া জানানোরও প্রয়োজন নেই।’’ সেনাপ্রধান খোলসা না করলেও বিজেপি নেতাদের মতে, পার্থবাবু তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ শিবিরের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন। কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীরা পাথরের বদলে গুলি ছুড়লে ভাল হত বলে মন্তব্য করেছিলেন সেনাপ্রধান। তাঁর দাবি, ওই মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।
সেনাপ্রধানের মতে, ভারত ‘আড়াইটি ফ্রন্টে’ লড়াইয়ের জন্য তৈরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি চিন, পাকিস্তান ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার একসঙ্গে মোকাবিলার কথা বলেছেন। তবে তাঁর মতে, ‘‘সমস্যা মেটানোর অন্য পথও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীই তো বলেছেন ভারত-চিন সীমান্তে গত ৪০ বছরে একটিও গুলি চলেনি।’’