National News

ভারতকে সেরা সামরিক প্রযুক্তি দিতে তৈরি আমরা, ঘোষণা আমেরিকার

পাকিস্তান সফর সেরে ভারতে এলেন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন। সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দিয়ে এসেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:৩৫
Share:

সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের বার্তা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন বিদেশ সচিব। ছবি: পিটিআই।

ভারতীয় বাহিনীকে শ্রেষ্ঠ সামরিক প্রযুক্তি দিতে তৈরি আমেরিকা। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানালেন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন। পাকিস্তান সফর সেরে মঙ্গলবার রাতেই টিলারসন নয়াদিল্লি এসেছেন। বুধবার সুষমার সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে টিলারসন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের প্রশ্নে আবার পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদ যদি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করে, তা হলে পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব হবে না— ভারতের প্রতিবেশী দেশকে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে টিলারসন এ দিন জানিয়েছেন।

Advertisement

ভারতকে নিজেদের ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনার’ (গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহযোগী) হিসেবে আগেই মর্যাদা দিয়েছে আমেরিকা। ভারতীয় বাহিনীর দ্রুত আধুনিকীকরণে সহায়তা করার আশ্বাসও দিয়েছে। সেই আশ্বাসের বার্তাই এ দিন আরও জোর দিয়ে উচ্চারণ করেছেন টিলারসন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি সরবরাহ করতে আমেরিকা প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: আগরা লখনউ সড়কে নামল সুখোই

Advertisement

সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে যে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন, সে কথা এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই জানিয়েছেন টিলারসন। সাংবাদিক সম্মেলনে একই সুরে সুষমা স্বরাজও দাবি করেছেন, পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি। নিজেদের ভূখণ্ডে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত পাকিস্তানকে রুখতেই হবে— এ দিন একযোগে এই বার্তা দিয়েছে ভারত-আমেরিকা।

আরও পড়ুন: নিশানা পাক সন্ত্রাস, বৈঠক মোদী-ঘানির

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও এ দিন আলোচনা হয়েছে সুষমা-টিলারসন বৈঠকে। সে প্রসঙ্গে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের ব্যবসা অনেক কমে এসেছে। আমি যদি বলি যে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের ব্যবসা এখন ন্যূনতম, তা হলেও ভুল বলা হবে না। সেখানে আমাদের একটা ছোট দূতাবাস রয়েছে। আমি বিদেশ সচিব টিলারসনকে বলেছি, যোগাযোগের একটা অন্তত পথ খুলে রাখতে আমেরিকার অন্তত একটি সহযোগী দেশের দূতাবাস উত্তর কোরিয়ায় থাকা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement