শুরুতেই হোঁচট খেল সংসদের বাজেট অধিবেশন। রোহিত ভেমুলা এবং জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই কক্ষই। দিনভর দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা। বিতর্কের আঁচে কাজকর্ম ঠিক মতো হল না লোকসভাতেও। বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। দলিতদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকে পাল্টা আক্রমণ বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের। রাহুলকে অনুরাগের প্রশ্ন, ‘‘আফজল গুরু সন্ত্রাসবাদী ছিল কি না জবাব দিন। যদি সে সন্ত্রাসবাদী না হয়, তা হলে কংগ্রেস সরকার তাকে ফাঁসিতে ঝোলাল কেন?’’ জেএনইউ এবং রোহিত ভমুলাকে নিয়ে দিনভর রাজনৈতিক চাপানউতোর চললেও, সুষ্ঠু আলোচনা হল না সংসদে।
আরও পড়ুন:
এত পিটিয়েছিলাম যে প্যান্টেই...উল্লাস সেই আইনজীবীদের
এ দিন সকালে রাজ্যসভার কাজ শুরু হতেই উত্তপ্ত হতে থাকে অধিবেশন। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন মায়াবতী। ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন মায়াবতীকে জানান, দুপুরে আলোচনা হবে। কিন্তু মায়াবতী মানতে রাজি হননি। রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যা নিয়ে তিনি নিজের বক্তৃতা চালিয়ে যান। ডেপুটি চেয়ারম্যান বার বার তাঁকে থামতে বলা সত্ত্বেও মায়াবতী থামেননি। এর পর মায়াবতীকে বাধা দিতে হইচই শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। বিএসপি সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্মৃতি ইরানি ও বন্দারু দত্তাত্রেয়র ইস্তফা দাবি করেন তাঁরা। মায়াবতীকে পাল্টা তীব্র আক্রমণ করেন স্মৃতি।
• বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যসভায়। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং বন্দারু দত্তাত্রেয়র বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বললেন, রোহিতের আত্মহত্যার জন্য এঁরাই দায়ী। সরকারের জবাব চাইলেন।মায়াবতীর দলের সাংসদরা সভার শুরু থেকেই বার বার স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে এলেন। স্মৃতি ও বন্দারুর পদত্যাগ দাবি করা হল।
• বিএসপি সাংসদদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর অভিযোগ, রোহিত ভেমুলাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিরোধীরা।
• বেঙ্কাইয়া নাইডু জানালেন, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ বা অন্য যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত।