ব্যবসায়ী রাজীব তোমর।
জিএসটি-র কারণে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে তাঁর। সেই ক্ষতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাণিজ্য নীতিকে দায়ী করে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন সস্ত্রীক এক জুতো ব্যবসায়ী। তিনি বেঁচে গেলেও, মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশে ভোট। তার আগে বাগপতের এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ব্যবসায়ীর নাম রাজীব তোমর। বাগপতের জুতো ব্যবসায়ী। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, “মনে করি আমার বলার স্বাধীনতা আছে। আমার যে দেনা হয়েছে তা মিটিয়ে দেব। যদি আমি মরেও যাই, সেই দেনা শোধ করব। অনুরোধ, আমার এই ভিডিয়োটি যত পারবেন শেয়ার করবেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি দেশদ্রোহী নই। এই দেশকে ভালবাসি। তবে মোদীজিকে একটা কথা বলে যেতে চাই যে, আপনি ছোট ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের শুভাকাঙ্ক্ষী নন। আপনার নীতি বদলান।” রাজীবের অভিযোগ, জিএসটি-র কারণেই তাঁর ব্যবসা বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ কথা বলার পরই ব্যবসায়ী একটি ছোট প্যাকেট ছেঁড়েন। তার মধ্যে থাকা কিছু একটা মুখে পুরে দেন। তাঁর স্ত্রী বাধা দিতে যান। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। রাজীবের স্ত্রী পুনমও সেই একই জিনিস খান। ভিডিয়োটি যাঁরা দেখেছিলেন তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রাজীব এবং তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। রাজীবের বেঁচে গেলেও তাঁর স্ত্রী হাসপাতালেই মারা যান।
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে এক ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টা, তা-ও আবার মোদীর বাণিজ্য নীতিকে দায়ী করে, আর এটাকেই হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে সে কথাও শুনেছি। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজীবজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।” এর পরই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশানা করে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, “গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের এমনই হাল হচ্ছে। নোটবন্দি, জিএসটি এবং লকডাউনের জেরে তাঁদের অবস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে।”