মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।—ফাইল চিত্র।
দেওবন্দে বিক্ষোভকারী মহিলাদের উৎখাত করতে পরিবারের পুরুষদের মামলায় ফাঁসানোর কৌশল নিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শাহিন বাগের পর থেকে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর-বিরোধী অবস্থান করেছেন দেওবন্দের মহিলারাও। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ভয় দেখিয়েও ইদগা এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীদের তুলতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ৪৭ দিনে পা দিল মহিলাদের বিক্ষোভ। পরিবারের পুরুষদের যে সব ধারায় পুলিশ মামলা দিয়েছে, সেগুলিও অদ্ভুত। কারও বিরুদ্ধে ‘জনমানসে রোগের সংক্রমণ ছড়ানো’-র মতো অভিযোগ আনা হয়েছে, তো কারও বিরুদ্ধে ছোটদের সমবেত করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস আইনে। এফআইআর-ও হয়েছে এঁদের বিরুদ্ধে। শুধু পুলিশ নয়, তাঁদের ‘শিক্ষা দিতে’ সরকার অন্য দফতরকেও কাজে নামিয়েছে বলে দাবি মহিলা বিক্ষোভকারীদের। এক বিক্ষোভকারী ছোটদের একটি স্কুল চালান। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি শিক্ষা দফতর থেকে অযৌক্তিক অভিযোগে সেই স্কুলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ইদগা থেকে যাতায়াতের সময়ে বিক্ষোভকারীদের গাড়িতে তোলায় নানা কারণ দেখিয়ে জরিমানা করা হয়েছে বহু ই-রিকশার চালককে।