—ফাইল চিত্র।
ব্র্যান্ডের নামেই ‘মুরগি ভাজা’। যে খাবার তারা বিক্রি করে তাতে তো মুরগির মাংস থাকবেই! কিন্তু রামভূমি অযোধ্যার নিয়মের পাকে পড়ে বোধ হয় এ বার আমেরিকার ব্র্যান্ডকে তাদের খাবার তো বটেই নামও বদলে ফেলতে হবে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকার তাদের শর্ত দিয়েছে, অযোধ্যার মন্দিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে রেস্তরাঁ খুলতে হলে শুধুমাত্র নিরামিষ সাত্ত্বিক খাবারই বিক্রি করতে পারবে তারা!
আমেরিকার ওই জনপ্রিয় ব্র্যান্ডকে ভাজা মুরগির মাংস বিক্রেতা হিসাবেই গোটা বিশ্ব চেনে। সেই ব্র্যান্ডের খাদ্যপ্রেমীরা উত্তর প্রদেশ সরকারের শর্ত শুনে বলাবলি করছেন, নামে ‘মুরগি ভাজা’র উল্লেখ থাকা ওই ব্র্যান্ডকে এ বার অযোধ্যায় নিজের নামটাও না বদলাতে হয়!
অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি। তার কয়েক দিনের মধ্যেই রামমন্দির ঘিরে একের পর দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের খাবার দোকান খুলেছে। রামমন্দিরকে ঘিরে যে পাঁচ কোশী মার্গ তৈরি করা হয়েছে সেখানেই রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে আরও একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের পিৎজা। তবে সেই পিৎজায় পেঁয়াজ, রসুন মাংসের টুকরোর মতো কোনও আমিষ উপাদান পড়ছে না। যদিও তাতে পিৎজা প্রেমীদের খুব অসুবিধা হচ্ছে তা নয়। কারণ পিৎজায় আমিষ উপাদান বাধ্যতামূলক নয়। বরং পিৎজা প্রথমে তৈরি হয়েছিল নিরামিষ উপাদান দিয়েই। অযোধ্যায় সেই পিৎজার রমরমা দেখার পরেই যোগী আদিত্যনাথের সরকারের এক কর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, অযোধ্যার মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় অন্য বিদেশি ব্র্যান্ডকেও রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দিতে পারে তারা। তবে ওই একটিই শর্তে। তাদের নিরামিষ খাবার বিক্রি করতে হবে।
কিছু দিন আগেই অযোধ্যা থেকে লখনউ যাওয়ার রাস্তায় নিজেদের রেস্তরাঁ খুলেছে আমেরিকার এই ব্র্যান্ড। সেই প্রসঙ্গেই উত্তরপ্রদেশের সরকারি আধিকারিক বিশাল সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অযোধ্যার মন্দির সংলগ্ন পাঁচ কোশী মার্গে রেস্তরাঁ খোলার প্রচুর প্রস্তাব এসেছে। আমরা সেই সমস্ত প্রস্তাবকেই দু’হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাতে চাই। যদি তারা প্রত্যেকে নিরামিষ খাবার সরবরাহ করে। কারণ রামমন্দিরের ওই চত্বর রামায়ণের পবিত্রভূমি। সেখানে মাংস বা মদ বিক্রি করা যাবে না।’’
প্রসঙ্গত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মদ-মাংসে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘটনা এই প্রথম অযোধ্যায় হল তা নয়। হরিদ্বারেও শহরের সীমার ভিতরে আমিষ খাবার বিক্রি করা যায় না।