—প্রতীকী চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করেছিলেন স্ত্রী। তাঁকে ‘তালাক’ দিয়ে দিলেন যুবক। তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা বধূর শারীরিক নির্যাতন করেছেন বলেও অভিযোগ।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার বাসিন্দা আরশাদ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বহরাইচের বাসিন্দা তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিছু দিন আগে অযোধ্যা শহরের উন্নয়নের জন্য মোদী এবং যোগীর প্রশংসা করেছিলেন তরুণী। তার জেরে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু স্বামী নয়, শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যও বধূকে মারধর করেন। এমনকি, গরম ডাল তাঁর দিকে ছুড়ে মারা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তরুণী।
তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ির সকলেই বিজেপি বিরোধী। তাই যোগী এবং মোদীর প্রশংসা করায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এর পর তাঁর স্বামী তিন বার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। এই পদ্ধতিতে বিবাহবিচ্ছেদ ভারতে বেআইনি। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। যুবক এবং তাঁর পরিবারের বাকিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। পণপ্রথা বিরোধী আইন এবং মুসলিম মহিলা সুরক্ষা আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কেন তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, মোদী-যোগীর প্রশংসা ছাড়া অন্য কোনও কারণে তাঁর উপর স্বামীর ক্ষোভ ছিল কি না, পুলিশ সে সব জানার চেষ্টা করছে।
মুসলিম সমাজে তিন বার ‘তালাক’ উচ্চারণ করে বিবাহবিচ্ছেদের প্রথা প্রচলিত ছিল। ২০১৭ সালের ২২ অগস্ট এই প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে মুসলিম মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় বলেও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে এই বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা তুলনায় কমেছে।