প্রতীকী ছবি।
নিজের মেয়েকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিল বাবা। তার পর নিজেও যোগ দিল অপরাধে। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের ঘটনা।
পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট মার্তণ্ডপ্রকাশ সিংহ জানান, ১৫ এপ্রিলের ঘটনা।
পরের দিনই বছর পঁয়ত্রিশের মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানান।
ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে আজ। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন ধরা পড়েছে। কিন্তু মহিলার বাবা ও আর এক অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তরুণীর একটি ছেলে আছে। প্রায় বিশ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পর থেকে বাবার সঙ্গে থাকতেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন, অর্থাৎ রবিবার মেয়েকে লখনউ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে কমলাপুরের একটি মেলায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত বছর পঞ্চাশের ব্যক্তি। সেখানে তার বন্ধু মান সিংহকে ডেকে নেয় সে। তারা তরুণীকে মোটরবাইকে উঠতে বলে। বাবার কথায় আপত্তি করেননি তিনি। তরুণীকে মোটরবাইকে চাপিয়ে আর এক অভিযুক্ত মিরাজের বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে অত্যাচার-পর্ব। প্রথমে বাবার বন্ধুরা ধর্ষণ করে তাকে। তার পর বাবাও যোগ দেয়।
পরের দিন অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় মিরাজের বাড়ি থেকে কোনও মতে পালান তরুণী। বাড়ি ফিরে মাকে গোটা ঘটনা জানান তিনি। সোমবারই দুই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় মিরাজকে। কিন্তু তরুণীর বাবা ও মান সিংহ পলাতক।
আরও পড়ুন: নারী নিগ্রহে অভিযুক্তদের প্রার্থী করে সব দলই
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর ও হামিরপুরে আরও দু’টি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দুই ক্ষেত্রেই নাবালিকা ধর্ষণ করা হয়েছে। সিদ্ধার্থনগরে একটি ছ’বছরের শিশুকে বিয়েবাড়িতে তার পড়শি যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। হামিরপুরে চোদ্দো বছরের এক কিশোরীকে রাস্তার ধারে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে তিন যুবক। তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।