Uttar Pradesh

স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে খুন সাংবাদিক, গ্রেফতার ৩

তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে রাকেশ ও পিন্টু দু’জনকেই জোর করে মদ্যপান করায় দুষ্কৃতীরা। যাতে দুর্ঘটনা বলে মনে হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৫৮
Share:

নিহত সাংবাদিক রাকেশ সিংহ নির্ভিক। ছবি: টুইটার থেকে

উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিক ও তার বন্ধুকে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেও রয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় পূর্ব পরিকল্পিত খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

Advertisement

রাষ্ট্রীয় স্বরূপ নামে লখনউয়ের একটি স্থানীয় স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক রাকেশ সিংহ নির্ভীক (৩৭)। তাঁর বাড়ি বলরামপুরে। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর বন্ধু পিন্টু সাহু (৩৪)। অভিযোগ, ওই দিন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে-সহ তিন জন রাকেশের বাড়িতে ঢুকে রাকেশ ও পিন্টুর গায়ে স্যানিটাইজার ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর। রাকেশকে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান।

সোমবার রাতে পুলিশ জানায়, বলরামপুরের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রিঙ্কু মিশ্র, পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে মূল অভিযুক্তও রয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্ত আক্রমের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। আক্রমের এক বন্ধু ললিত মিশ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আজ কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন রাজনাথ

বলরামপুরের পুলিশ সুপার দেবরঞ্জন বর্মা বলেন, ‘‘খুনের ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় আমরা বুঝতে পারি, এটা একটা ষড়যন্ত্র। খুনের পিছনে দু’টি উদ্দেশ্য ছিল— নির্ভীকের সাংবাদিকতা এবং দেনা-পাওনা নিয়ে পিন্টু ও রিঙ্কুর মধ্যে বিবাদ। ২৭ নভেম্বর একটি বিয়ার বারের সামনে ললিত ও পিন্টুর মধ্যে বাদানুবাদ ও মারপিট হয়েছিল।’’

আরও পড়ুন: ফের সঙ্ঘাত? জোন পর্যবেক্ষক পদে সৌমিত্রর সব নিয়োগ আটকে দিলেন দিলীপ

তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের আগে রাকেশ ও পিন্টু দু’জনকেই জোর করে মদ্যপান করায় দুষ্কৃতীরা। দুর্ঘটনা বলে চালানোর জন্যই এটা করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরও অনেককেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রাকেশের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই খবর করছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সত্য ঘটনাকে সামনে আনার এটাই মূল্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement