National News

সাতসকালে জেলের ভিতরে খুন উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গি

বজরঙ্গির বিরুদ্ধে তোলাবাজি, খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৯-এ গাজিপুরে বিজেপি বিধায়ক-সহ দলেরই সাত কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে বজরঙ্গির বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বাগপত শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ১১:২৪
Share:

উত্তরপ্রদেশের কুথ্যাত গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গি।

জেলের মধ্যেই খুন উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গি। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাগপত জেলের ভিতরে তাঁকে গুলি করে খুন করে এক বন্দি। তার মাথায় গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই গ্যাংস্টারের। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই খুনের পিছনে সুনীল রাঠি নামে অন্য এক গ্যাংস্টারের হাত রয়েছে।

Advertisement

বজরঙ্গির বিরুদ্ধে তোলাবাজি, খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৯-এ গাজিপুরে বিজেপি বিধায়ক-সহ দলেরই সাত কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে বজরঙ্গির বিরুদ্ধে। একটি তোলাবাজির মামলায় রবিবার রাতেই বজরঙ্গিকে ঝাঁসি জেল থেকে বাগপত জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন সেই মামলায় তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ জানান, সংশোধনাগারে স্থানীয় অপরাধীদের একটি দলের সঙ্গে বচসা হওয়ার সময়ই বজরঙ্গিকে গুলি করা হয়।এই ঘটনার পর জেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে বজরঙ্গিকে খুন করল ওই বন্দি? বন্দুকই বা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এমন একটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকারও। এডিজি (কারা) চন্দ্র প্রকাশ তাই তড়িঘড়ি ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নেমে পড়েন। জেলের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করেন তিনি। চন্দ্র বলেন, “তদন্ত করা হচ্ছে জেলের ভিতরে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল। এতে জেল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা স্বামীর, পুলিশে খবর দিলেন স্ত্রী

এ দিনের ঘটনার পরই জেলের অন্য বন্দিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি জেলারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। কড়া হুঁশিয়ারি তিনি বলেন, “জেলের ভিতরে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। কোনও ভাবেই এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কয়েক দিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সীমা সিংহ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর স্বামী মুন্না বজরঙ্গিকে খুনের ছক কষছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (সিট)। বজরঙ্গির স্ত্রী সীমা সিংহের অভিযোগ, তাঁর স্বামীর প্রাণহানির আশঙ্কার কথা আগেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, এই বার্তাটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। বলেন, “ভুয়ো এনকাউন্টারে স্বামীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। সেই আশঙ্কাটাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চেয়েছিলাম।” যদিও সীমা সিংহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিট।

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের পথ খোলা রেখেই বিজেপি-র সঙ্গে দর কষাকষি নীতীশের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement