Cauliflower

১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! সঠিক দাম না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন উত্তরপ্রদেশের চাষিরা

স্থানীয় বাজারে ফসল বিক্রি করেন চাষিরা। এ বছর বিপুল পরিমাণ ফুলকপি হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকার জন্য চাষিরা ফসলের দাম ঠিক মতো পাচ্ছেন না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪১
Share:
ফুলকপির দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। প্রতীকী ছবি।

ফুলকপির দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা। প্রতীকী ছবি।

কেজিতে এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! সব্জির সঠিক দাম না পেয়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে ট্যাক্টর চালিয়ে ফসল নষ্ট করছেন হতাশ চাষিরা। উত্তরপ্রদেশের আমরোহার ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় বাজারে ফসল বিক্রি করেন চাষিরা। এ বছর বিপুল পরিমাণ ফুলকপি হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকার জন্য চাষিরা ফসলের দাম ঠিক মতো পাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়েই সব্জি মন্ডিতে জলের দরে বিক্রি করতে হচ্ছে ফুলকপি। কিন্তু সেই সব্জিই যখন ক্রেতাদের হাতে পৌঁছচ্ছে, ১০-১৫ টাকা কেজি দরে তা কিনতে হচ্ছে। আর এখানেই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ফুলকপি চাষিদের। ফড়ে এবং দালালরা নিজেদের ভাগ বুঝে নিচ্ছেন, কিন্তু ফসল বিক্রি করে তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষিদের।

লাল সিংহ সাইনি নামে আমরোহার মহম্মদপুরপট্টির এক কৃষক জানান, ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষের জন্য বিঘা প্রতি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। পাইকারি বাজারে প্রথম দিকে ঠিক দামেই বিক্রি হচ্ছিল কপি। জানুয়ারির পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে। বাজারে জোগান বেশি হওয়ায় ঝপ করে দাম পড়ে গিয়েছে। বাজারে সঠিক না পাওয়ায় ফসল বিক্রি করতে বিমুখ হচ্ছেন চাষিরা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় তাই শেষমেশ সেই ফসল নষ্ট করে ফেলছেন। আমরোহার কল্যাণপুরার চাষিদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানকার চাষিদের দাবি, এ বছর ঠিক মতো দাম পাওয়া যায়নি। এখনও প্রচুর ফসল পড়ে রয়েছে। পরের চাষের জন্য এখনই যদি জমি প্রস্তুত না করা যায়, তা হলে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই জমিতে থাকা ফসল নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement