ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ফের চলে এল খবরের শিরোনামে। এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনার পর পুলিশের অমানবিক আচরণের সৌজন্যে! ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁর টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে গিয়ে কি হেনস্থাই না হতে হল ১৬ বছরের কিশোরীকে! তাঁর বয়ান শুনে সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করা তো দূরের কথা, অন্য পুলিশকর্মীদের সামনে সেই কিশোরীকে নিয়ে রঙ্গ, রসিকতা শুরু করলেন হেড কনস্টেবল। কিশোরী কানে কেন দুল পরেছেন, কেন গলায় পরেছেন হার, পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে সেই বিদ্রূপও শুনতে হল কিশোরীকে। চরম অপমানিত হতে হল সেই কিশোরীর বাবা, মা ও ভাইকেও।
কানপুরের ঘটনা। গোটা ঘটনাটি মোবাইল ফোনের ভিডিয়ো ক্যামেরায় তুলে রেখেছিলেন কিশোরীর ভাই। সেটি পরে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োটি দিয়েই বৃহস্পতিবার টুইট করেছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
মোবাইল ফোনে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কিশোরীটি বার বার এফআইআর নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন থানায়। আর সেই কিশোরীকে নিয়ে রীতিমতো রঙ্গ, রসিকতা করছেন থানার ওই হেড কনস্টেবল। বলছেন, ‘‘তুমি কানে দুল পরেছো কেন? নেকলেস পরেছো কেন? এত গয়না পর কেন? পড়াশোনা না করে এত গয়না পরে থাক কেন? ওই সব পরে কী কাজ কর? এই সবই বলে দিচ্ছে, তুমি আসলে কেমন মেয়ে...’’
আরও পড়ুন- ক্লাসে ঢুকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির নালিশ
আরও পড়ুন- ভর সন্ধ্যায় টলি অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিজয়গড়ের রাস্তায়
হেড কনস্টেবল মেয়েকে এই সব বলছেন দেখে এগিয়ে আসেন তাঁর মা, বাবা। ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছে, তা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীদের। তখন ওই হেড কনস্টেবল কিশোরীর বাবা, মাকে বলেন, ‘‘মেয়ে কী করে বেড়াচ্ছে, কোনও খবরটবরই রাখ না দেখছি। বলছ তো কাজ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও রোজ সকালে। বাড়িতে আর ফিরে আস না? মেয়ে কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কোনও খবরই রাখ না?’’ কিশোরীর বাবা, মা দিনমজুরের কাজ করেন।
পরে ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ এফআইআর নিয়েছে।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা এ দিন সেই ভিডিয়ো-সহ একটি টুইট করেছেন। সেখানে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। হিন্দিতে করা সেই টুইটে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে গেলে মহিলাদের সঙ্গে এমনই ব্যবহার করে পুলিশ। যাঁদের হাতে আইন রক্ষকের দায়িত্ব, সেই পুলিশই কি না এমন আচরণ করে চলেছে!’’