ভোটদানের পরে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। পিটিআই
প্রথম পর্বে কম হলেও, দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠেরা ভোট দিয়েছেন বলে মনে করছে বিজেপি। জাঠ বলয়ের ওই ভোট শাসক শিবিরের বিপক্ষে যাবে বলেই আশঙ্কায় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্য দিকে উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় ভোট গত বারের চেয়ে কম পড়েছে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
আজ দ্বিতীয় পর্বে উত্তরপ্রদেশে গড়ে ভোট পড়েছে ৬১.২০ শতাংশ। কিন্তু বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে সহারনপুর (৬৭.১৩ %) অমরোহা (৬৬.১৯%), বিজনৌরের(৬১.৪৮%) মতো জাঠ বলয়ের জেলাগুলিতে ভোট পড়েছে গড়ের চেয়ে অনেকটাই বেশি। যা বিজেপির কাছে বেশ চিন্তার। কারণ সংস্কারমুখী কৃষি আইনের কারণে জাঠ সমাজের একটি বড় অংশ বিজেপিকে শিক্ষা দিতে এ বারের ভোটকেই বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছে বিজেপি। তা বুঝে বিজেপি ওই এলাকায় মেরুকরণের রাজনীতি উস্কে দেওয়ার কৌশল নিলেও, মোটের উপরে জাঠেদের প্রতিনিধিত্ব করা রাষ্ট্রীয় লোক দল যদি নিজেদের ভোট ধরে রাখতে সক্ষম হয় সে ক্ষেত্রে ওই দলের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির জোট রীতিমতো বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে বিজেপি প্রার্থীদের। গত বার ওই এলাকার ৫৫টি আসনের মধ্যে ৩৮টি জিতেছিল বিজেপি। বাকি ১৫টি এসপি ও দু’টি কংগ্রেস। এসপি যে ১৫টি আসনে জেতে তার মধ্যে ১০টি আসনে জিতেছিলেন সংখ্যালঘু প্রার্থীরা। আজ রামপুর বা মোরাদাবাদের মতো জেলাগুলিতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট দানের কম হার আবার অন্য দিকে চিন্তায় রেখেছে এসপি নেতৃত্বকে।
উত্তরাখণ্ডে শেষবেলায় মেরুকরণের রাজনীতির জোরে দল ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করবে এমন আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ওই রাজ্যে ৬২.৫% ভোট পড়েছে। যা গত বারের চেয়ে প্রায় তিন শতাংশ কম। বিজেপি শিবির মনে করছে, যে ভাবে মানুষ পথে নেমে ভোট দিয়েছেন তাতে দল জিততে চলেছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি মদন কৌশিকের কথায়, ‘‘উন্নয়নের লক্ষ্যে ও বিরোধীদের তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে রুখতে মানুষ বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন।’’
দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করতে শেষবেলায় মেরুকরণের রাজনীতিকেই হাতিয়ার করে বিজেপি। ক্ষমতায় ফিরলে মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে অভিন্ন
দেওয়ানি বিধি চালু করার আশ্বাস দেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পুষ্কর সিংহ ধামী। দল মনে করছে ভোটের ঠিক আগে ওই প্রচারে দলের পক্ষে ফায়দা হয়েছে।
অন্য দিকে সুদূর দক্ষিণে গোয়ায় গত বার ৮১.২% শতাংশ ভোট পড়েছিল। এ বার কম-বেশি ওই পরিমাণে ভোট পড়বে বলেই আশা করছে নির্বাচন কমিশন। আজকের ভোটে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী প্রমোদ সাওয়ন্তের কেন্দ্র সানকেলিমে। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কেন্দ্রে এই সংখ্যক ভোট পড়া দেখে আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মতে, মানুষ যে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় চাইছেন তা ওই কেন্দ্রের ভোট চিত্র থেকেই স্পষ্ট। গত বার বিজেপির থেকে বেশি আসন পেয়েও সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। এ বারেও যা পরিস্থিতি তাতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতারা।