Unnatural Death

তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, প্রশ্নে দলিত সুরক্ষা

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ০৮:০৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বছর পাঁচেক আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের সাগরের এক দলিত তরুণী। বছর কুড়ির ওই তরুণী পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযুক্তদের নামও বলেছিলেন। পরিমাণে যা ঘটছে তা মর্মান্তিক। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই ওই পরিবারের তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন ওই তরুণীও। গত রবিবার শববাহী গাড়ি থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে দলিতদের অবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement

আজ়াদ ঠাকুর, বিশাল ঠাকুর, পুষ্পেন্দ্র ঠাকুর এবং ছোটু রাইকওয়ারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ওই তরুণী কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ করেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ১৫ বছর। এফআইআর অনুযায়ী, বিশালের বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণী। তার পর থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তরুণীর পরিবারের উপরে চাপ দেওয়া হতে থাকে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয় এক দল জনতা। তাতে অভিযুক্তেরাও ছিল বলে অভিযোগ। ওই জনতা তরুণীর ১৮ বছরের ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নিগৃহীত হন তাঁর মা। অভিযোগ, ওই জনতা কিশোরের মাকে বিবস্ত্র করেছিল। ওই ঘটনায় বিশাল, আজ়াদদের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়।

এর পর গত শনিবার তরুণীর কাকাকে ফোন করেন জনৈক পাপ্পু রজক নামে এক ব্যক্তি। তিনি ফোনে জানান, তাঁর ভাইপো হত্যার বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আলোচনা করতে চান। তরুণীর কাকা তাঁর ভাইপো হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। কাকা পাপ্পুর কাছে গেলে তাঁকে বয়ান প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় পাপ্পু ও তার সঙ্গীরা তাঁর উপরে চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাঁর পরিবারের জন্য। কাকার মৃতদেহ নিয়ে রবিবার বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আচমকাই শববাহী গাড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই তরুণী। কী ভাবে তিনি পড়ে গেলেন তা নিয়ে পুলিশ কোনও সদুত্তর দেয়নি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লোকেশ সিংহ বলেন, ‘‘তরুণীর কাকা একটি সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। কী হয়েছিল তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। গাড়ি থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement