নির্যাতিতার পরিবারের সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। —ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও, এখনও সঙ্কট কাটেনি উন্নাওয়ের নির্যাতিতার। এমন অবস্থায় তাঁকে দিল্লিতে সরিয়ে আনা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাতে সায় দিল না ওই তরুণীর পরিবার।
এই মুহূর্তে লখনউয়ের কিং জর্জস্ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী। সেখানে তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায়, উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। আবার উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেও দিল্লির এইমসে তাঁদের সরিয়ে আনার দাবি উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হলে নির্যাতিতাকে লখনউ থেকে উড়িয়ে আনা যায় কি না , তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে আপত্তি করেন নির্যাতিতার মা। তিনি জানান, মেয়ের যা শারীরিক অবস্থা, তাতে এদিক ওদিক না করাই ভাল। আপাতত লখনউয়েই চিকিৎসা চলুক।
এর পর আদালতের তরফে আর জোর করা হয়নি তাঁদের। বরং জানিয়ে দেওয়া হয়, পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত লখনউতেই মেয়ের চিকিৎসা করাতে চান নির্যাতিতার পরিবার। তাই অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকেও সতর্ক করে দেয় শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম মেয়েটির পুরনো সাক্ষাৎকার পুনঃপ্রকাশ করে। সে ক্ষেত্রে কোনও ভাবে নির্যাতিতার পরিচয় যাতে, সামনে না চলে আসে, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয় সকলকে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবিরোধী ইউপিএ বিল পাশ হয়ে গেল রাজ্যসভাতেও
অন্য দিকে, দুর্ঘটনায় মৃত স্ত্রীর শেষকৃত্য সারতে সম্প্রতি একদিনের প্যারোলে রায়বরেলী জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন নির্যাতিতার কাকা মহেশ সিংহ। সবকিছু মিটতে ফের জেলে ফিরে গিয়েছেন তিনি। অবিলম্বে তাঁকে দিল্লির তিহাড় জেলে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লখনউয়ের জেলাশাসক রাজ শর্মা জানান, ‘‘নির্যাতিতা ও তাঁদের পারিবারিক আইনজীবী, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন দু’জনেই। মেয়েটির পরিবার হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় সন্তুষ্ট।’’
আরও পড়ুন: ডোকলামে চিনা সেনার অনুষ্ঠানে যোগ দিল ভারত
তবে লখনউয়ের কিং জর্জস্ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, নির্যাতিতা এবং মহেন্দ্র সিংহ নামের ওই আইনজীবী, দু’জনের অবস্থাই সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে মহেন্দ্র সিংহকে। নিজে শ্বাস নিতে পারলেও, এখনও অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। তবে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এখনও ভেন্টিলেটরেই রয়েছেন ওই তরুণী। জ্বর রয়েছে গায়ে। বৃহস্পতিবার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর।