উন্নাওয়ে ধর্ষিতার বাবার খুনের মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী ইউনুসের পরিবারকে লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দরজা থেকে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দিল পুলিশ। ইউনুসের পরিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু অনুমতি না-মেলায় ইউনুসের স্বজনেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে— তাঁদের প্রথমে আটক করা হলেও পরে উন্নাওয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ অগস্ট ৩২ বছরের ইউনুসের মৃতদেহ মেলার পরে পরিবার তা কবর দিয়ে দিয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে না জানিয়েই এক কাজির উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন শনিবার সেই দেহ কবর থেকে তুলে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করে রাখে। তাদের মতামত ছাড়া এ কাজ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল ইউনুসের পরিবার। ইউনুসের ভাই জান মহম্মদ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত শরিয়ত-বিরোধী বলে তাঁরা সেটি না করিয়েই দেহ কবর দিয়েছিলেন। এই কারণে দেহ কবর থেকে তোলারও বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা।
যে চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত করেন, তাঁদের এক জন জানিয়েছেন— প্রাথমিক ভাবে দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্যাথলজি ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ-ও সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য জোরাজুরি করছিলেন ইউনুসের স্বজনেরা। তাঁদের আটক করে প্রথমে হজরতগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে সেখানে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন। তার পরে উন্নাওয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কূলদীপ সিংহ সেনগার এক ১৬ বছরের কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন বলে এক দিনমজুর অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতেই বিধায়কের ভাই ও চার বিজেপি কর্মী এপ্রিলে ওই দিনমজুরকে পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশি হেফাজতে নির্যাতিতার বাবাকে পিটিয়ে মারার জন্য সেনগারের ভাই ও চার সমর্থকের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই চার্জ গঠন করে সিবিআই। এই খুনেই প্রধান সাক্ষী ছিলেন ইউনুস।