হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গা-ছাড়া মনোভাবই রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। স্মৃতি ইরানির মন্ত্রকের পাঠানো দুই সদস্যের দলের রিপোর্টে এ কথা উঠে এসেছে।
হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতের ভিত্তিতে পক্ষপাত, দেশ-বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ নিয়ে স্মৃতি ইরানির মন্ত্রককে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্দারু দত্তাত্রেয়। সেই চিঠি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বার বার নির্দেশ দেয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের দাবি, তার পরেই রোহিত ভেমুলাকে দ্বিতীয় বার সাসপেন্ড করা হয়। যার জেরে আত্মহত্যা করে রোহিত।
কিন্তু মন্ত্রকের পাঠানো দলের রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। ওই দলের দাবি, উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা মন্ত্রকের চিঠিকে গুরুত্বই দেননি। একই সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের বিষয়টিকে। বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন সামাজিক ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়ারা। যার ফলে রোহিতের আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রেরা অবশ্য এই রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেনি মন্ত্রকের পাঠানো দল। এক বিক্ষোভকারী ছাত্রনেতার মতে, ‘‘মন্ত্রকের পাঠানো দল তো আর তাদের দোষ দেখতে পারে না। তাই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’ আজও অনশনরত পড়ুয়াদের এক জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বিপিন শ্রীবাস্তবের শান্তি ফেরানোর আর্জিতেও বিশেষ কাজ হয়নি। আজ পড়ুয়ারা একটি শান্তি মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। ঝােমলা রুখতে ৫৪ জন বিক্ষোভকারীকে হেফাজতে নেয় তারা। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের সুপারিশ করেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দল। ফলে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক।