National News

তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ, অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্র

এখন শুধু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই বাকি। তারপরই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। তবে সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, ছ’মাসের মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষেই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে হয়। সেটা সম্ভব না হলে আবার নতুন করে অর্ডিন্যান্স জারি করতে হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৪:০৩
Share:

তিন তালাক নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।

লোকসভায় পাশ হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় পেশ হয়নি রাজ্যসভায়। সেই তিন তালাক নিয়ে এবার অর্ডিন্যান্স জারি করল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অর্ডিন্যান্স পাশ হয়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এ খবর জানান। অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতির সইয়ের পরই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। লোকসভা ভোটের মুখে অর্ডিন্যান্স জারি করে বিজেপি মুসলিম সম্প্রদায়ের মন জয়ের চেষ্টা করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট আগেই তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। শীর্ষ আদালতের রায়কে মর্যাদা দিতেই তৈরি হয় মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অব রাইটস অন ম্যারেজ) বিল ২০১৭। গত বাদল অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ হয় সেই বিল। পাশও হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধীরা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে। এছাড়াও আরও কিছু জটিলতায় শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় পেশ হয়নি এই বিল। তাই এ বার অর্ডিন্যান্স জারি করে তিন তালাককে আইনি স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র।

অর্ডিন্যান্সের নিয়ম অনুযায়ী, এখন শুধু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই বাকি। তারপরই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। তবে সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী, ছ’মাসের মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষেই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে হয়। সেটা সম্ভব না হলে আবার নতুন করে জারি করতে হয় অর্ডিন্যান্স। লোকসভা ইতিমধ্যেই পাশ করেছে। এবার শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পাশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওয়াও অফার, মাত্র সাড়ে ১৩ হাজারে দিল্লি থেকে আমেরিকা!

গত বছরের অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের এই বিবাহ বিচ্ছেদ প্রথা মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে। তার পর থেকেই বিল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। অন্যদিকে বিল রাজ্যসভায় পেশ না হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বহুবার বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেছেন, বিরোধীদের জন্যই রাজ্যসভায় বিল পেশ করা যায়নি। বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, সরকারই চায় না সংসদে পাশ হোক বিল। অর্ডিন্যান্স জারির পর এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘আমরা আলোচনায় রাজি ছিলাম। কিন্তু সরকার বিরোধীদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনাই করেনি। এটাই মোদী সরকারের কাজ করার ধরন।’’

আরও পড়ুন: ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেব’, প্রতিবন্ধীদের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্য বাবুল সুপ্রিয়র

রাজনৈতিক চর্চা যাই হোক, আপাতত মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্ট যে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল, এ দিনের অর্ডিন্যান্স সেই পদক্ষেপে আরও এক ধাপ এগোল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement