Union Budget 2022-23

Union Budget 2022-23: করোনা-কালেও স্বাস্থ্যে মাত্র ২০০ কোটি বাড়ল, মাণ্ডবিয়ার মন্ত্রকের হাতে শুধুই পেনসিল

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের মতো অনেকে ভেবেছিলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে এ বার অন্তত জিডিপি-র আড়াই শতাংশ বিনিয়োগ হবে স্বাস্থ্যে।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের আবহে কেন্দ্রীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বড় বরাদ্দের আশা করেছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু দিনের শেষে গত বারের চেয়ে মাত্র দু’শো কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে মনসুখ মাণ্ডবিয়ার মন্ত্রকে।

Advertisement

করোনার প্রসঙ্গ তুলে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প হিসাবে ন্যাশনাল টেলি মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রাম বা কোভিডের কারণে মানসিক অবসাদে ভোগা মানুষদের টেলিফোনে কাউন্সেলিং চালুর ঘোষণা করেই থেমে যান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, দেশে ২৩টি টেলি-কাউন্সেলিং কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সেগুলির নোডাল কেন্দ্র হবে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস। এ ছাড়া কার্যত গোটা বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ ছুঁয়ে দেখেননি নির্মলা। বাজেট নথি বলছে, গত আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৮২,৯২০.৬৫ কোটি টাকা। এ বছর সেই বরাদ্দ ৮০ কোটি বেড়ে হয়েছে ৮৩,০০০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ গবেষণা দফতরের জন্য গত বার বরাদ্দ হয়েছিল ৩০৮০ কোটি টাকা। এ বছর বরাদ্দ বৃদ্ধির পরে তা হয়েছে ৩২০০.৬৫ কোটি। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে গত বারের চেয়ে বৃদ্ধির পরিমাণ দু’শো কোটি টাকা।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব কে সুজাতা রাওয়ের মতো অনেকেই ভেবেছিলেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে এ বার অন্তত জিডিপি-র আড়াই শতাংশ বিনিয়োগ হবে স্বাস্থ্যে। পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সড়ক ও বন্দরের কোনও গুরুত্বই থাকবে না, যদি দেশের মানুষ অসুস্থ ও অশিক্ষিত হয়ে থাকেন।’’ করোনা-কালে চিকিৎসা বিমায় আয়কর ছাড়ের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকার বর্তমান ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হবে বলে আশা ছিল অ্যাপোলো হাসপাতাল সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সঙ্গীতা রেড্ডির। সে ক্ষেত্রেও কোনও সুরাহা হয়নি।

Advertisement

গত বছরের একাধিক প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাই বরাদ্দও বাড়েনি। যেমন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য ভারত যোজনা প্রকল্প ঘোষণা হয়। ছয় বছরের ওই প্রকল্পে ৬৪,১৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ছিল। কিন্তু সেখানে মাত্র দশটি রাজ্যের প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে। সেগুলিকেও ছাড়পত্র দিয়ে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় উৎসাহ দিতে পুণের ভাইরোলজি কেন্দ্রের ধাঁচে আরও পাঁচটি জাতীয় কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেগুলির কাজও শুরু হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement