গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
নাবালক ভাইকে ‘বলি’ দিল দাদা! দুর্গা মূর্তির সামনেই ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দিল ভাইয়ের। মর্মান্তিক এই ঘটনায় যুক্ত ছিল মৃতের কাকাও।
১৩ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলায়।
ঘটনার ৫ দিন পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে ওই নাবালকের মাথাহীন দেহ উদ্ধার করে। নদীর তীরে দেহটা পোঁতা ছিল। তারও কিছু দূরে জঙ্গলের মধ্যে পড়েছিল মাথাটা। পুলিশ মৃতের ভাই এবং কাকাকে গ্রেফতার করেছে। প্রথমে তারা অস্বীকার করলেও পরে পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ঘনশ্যাম রাণা। দাদা শোভবন রাণা এবং কাকা কুঞ্জা রানা। ১৩ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ঘনশ্যাম। পর দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর তিতলাগড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় কাকা এবং ভাইয়ের উপর।
আরও পড়ুন: যোগে যোগাযোগ, কানাডার ক্যাথরিন এখন কালনার টিনের ঘরের বৌমা
তিতলাগড়ের এসডিপিও সরোজ মহাপাত্র জানান, ওই এলাকায় কুসংস্কার খুব বেশি। নিখোঁজ ডায়েরির ৫ দিন পর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পর প্রথমেই তাঁর সন্দেহ হয়, কুসংস্কারবশত ওই নাবালককে খুন করা হতে পারে। কথায় অসঙ্গতি থাকায় কাকা এবং দাদার উপর সন্দেহ হয় পুলিশের। গ্রেফতার করে জেরা করতেই তারা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্যই তারা ওই নাবালকের ‘বলি’ দিয়েছিল বলে জানায়। খুনের ছুরিটাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।