প্রতীকী ছবি।
স্বশাসনের ক্ষেত্রে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখাপেক্ষী হওয়ার দরকার নেই। তার বদলে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছেই আবেদন করা যাবে। স্বশাসিত তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে এই বদল আনতে চাইছে ইউজিসি। এ বিষয়ে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তা নিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতও জানতে চেয়েছে ইউজিসি। সূত্রের খবর, স্বশাসিত কলেজ বিষয়ক নিয়মের নতুন খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যে কলেজগুলির স্বশাসিত হওয়ার যোগ্যতা আছে তারা এ বার থেকে সরাসরি ইউজিসির ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট কলেজ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তারা ইউজিসি-র ওয়েবসাইটেই এই আবেদন যাচাই করতে পারবে এবং তাদের মতামত জানাতে পারবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে মতামত জানাতে পারবে। ৩০ দিনের মধ্যে মতামত না-জানালে ইউজিসি ধরে নেবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আপত্তি নেই। তার পরে এরপর ইউজিসির স্ট্যান্ডিং কমিটি সংশ্লিষ্ট কলেজের স্বশাসনের ব্যাপারে মতামত দেবে।
২০১৮ সালের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কলেজ স্বশাসনের অধিকার পেতে চাইলে তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সেখানেই আবেদন জানাতে হত। তার পরে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় মতামত-সহ সেই আবেদন ইউজিসি-কে পাঠাতো। তবে নতুন খসড়ায় স্বশাসনের ক্ষেত্রে পুরনো যোগ্যতামান বহাল রাখা হচ্ছে বলে খবর। সে ক্ষেত্রে স্বশাসনের আবেদন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের বয়স ন্যূনতম ১০ বছর হতেই হবে। এর পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট এন্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ (নাক)-এর বিচারে ‘এ’ গ্রেড পেতে হবে। অথবা, ওই কলেজে পড়ানো হয় এমন তিনটি বিষয়ের ‘ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশনের’ (এনবিএ) মূল্যায়ন থাকা চাই। সেই মূল্যায়নে ন্যূনতম ৬৭৫ নম্বর পেতেই হবে।
নতুন এই খসড়ায় এ-ও বলা হয়েছে, কোনও কলেজ যদি টানা ১৫ বছর স্বশাসিত কলেজ হিসেবে চলে, তা হলে তাকে পাকাপাকি ভাবে ‘স্বশাসিত কলেজ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। কিন্তু স্বশাসিত কলেজগুলি প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে না-চললে তাদের স্বশাসনের স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। আগের নিয়মে স্বশাসিত কলেজগুলির পরিচালন সমিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ইউজিসি-র প্রতিনিধি রাখতে হত। সেই নিয়মও আর বহাল থাকবে না বলে খবর।