সুষমা, সুলতানা সঙ্গে স্বামীরা। টুইটার থেকে নেওয়া।
দুই ব্যক্তির প্রাণ বাঁচল স্ত্রীদের দেওয়া কিডনিতে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ওই দুই মহিলার এক জন হিন্দু এবং অন্য জন মুসলমান। তাঁরা একে অপরের স্বামীকে কিডনি দিয়ে বাঁচালেন।
৫০ বছরের বিকাশ উনিয়াল এবং ৫১ বছরের আশরফ আলি। দু’জনেই ভুগছিলেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। দু’জনেরই প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন দু’টি কিডনির। কিন্তু হাজার খুঁজেও কিডনি পাননি দুই পরিবারের কেউ। ঘটনাচক্রে বিকাশ ও আশরফ, দু’জনেই চিকিৎসক শাহবাজ আহমেদের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু কেউ কাউকে চেনেন না। অনেক খোঁজাখুজির পরেও প্রয়োজন মতো কিডনি না পেয়ে যখন হাল ছাড়ার উপক্রম, ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে দেখা দেন ওই চিকিৎসক। তিনি জানান, বিকাশ এবং আশরফের স্ত্রীদের কিডনিই প্রাণে বাঁচাতে পারে তাঁদের স্বামীদের। শাহবাজ আহমেদ জানান, বিকাশের স্ত্রী সুষমার কিডনি বসবে আশরফের শরীরে। আর আশরফের স্ত্রী সুলতানা কিডনি দিয়ে বাঁচাবেন বিকাশকে।
চিকিৎসক শাহবাজ আহমেদ দুই পরিবারের সঙ্গে প্রথমে আলাদা আলাদা তার পর একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলেন। সওয়াল যেখানে প্রাণের, সেখানে ধর্ম-অধর্মের জায়গা কোথায়? চিকিৎসকের পরামর্শ মানতে সময় নেননি হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী দুই পরিবার। ঠিক হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী সুষমা কিডনি দান করবেন আশরফকে, আর মুসলিম ধর্মাবলম্বী সুলতানা কিডনি দান করবেন বিকাশকে।
অস্ত্রোপচার শেষে নয়া জীবনে পা দিয়েছেন বিকাশ ও আশরফ। বলছেন, ‘‘হিন্দু-মুসলিমে ভেদাভেদ তো মানসিকতার ব্যাপার। জীবন যেখানে বিপন্ন, সেখানে এই প্রশ্ন আসে কোথা থেকে!’’