পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি পিটিআই।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পুঞ্চে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে আসা দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গিদের স্থানীয় এক সহযোগীকে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে আজ এ কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুমান, এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জেলা উন্নয়ন পরিষদ (ডিডিসি)-এর চলতি নির্বাচনে অশান্তি তৈরির উদ্দেশ্যেই ওই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে কাশ্মীরে ঢোকানো হয়েছিল।
দিন তিনেক আগে জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকেছিল বলে অনুমান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন, উপত্যকায় প্রবেশের পরে প্রথমে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে, পুঞ্চের প্রত্যন্ত গ্রাম ছত্তাপানি-দুগ্রানে লুকিয়ে রয়েছে ওই জঙ্গিরা। পুলিশের সহযোগিতায় আজ তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। তুষারপাতের ফলে ওই এলাকায় আটকে পড়েছিল পাক সন্ত্রাসবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা তাদের ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে সাজিদ ও বিলাল নামে দুই পাক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দু’টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, ৩০০ গ্রাম আরডিএক্স-সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ বলেন, ‘‘জেলা উন্নয়ন পরিষদের ভোটপ্রক্রিয়া বানচাল করতে এটা পাকিস্তানের একটা চেষ্টা। লস্কর ও জইশ জঙ্গিদের উপত্যকায় ঢোকানো হচ্ছে।’’ গত নভেম্বরে নাগরোটায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জইশ জঙ্গি নিহত হয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার জ়ানিয়াপোরায় এলাকা ঘিরে রেখে গত কাল তল্লাশি অভিযান চলার সময় উঁচু জায়গা থেকে পড়ে মারা যান আব্দুল মাজেদ দার নামে এক সেনা জওয়ান। তিনি অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা। আজ সেনার মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানান, তল্লাশি চলার সময়ে অসমতল জমির কারণে পা হড়কে উঁচু জায়গা থেকে অনেকটা নীচে পড়ে যান আব্দুল।