চিনা ‘ঝিবা অ্যাটাক হেলিকপ্টার’
পাকিস্তানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধের মধ্যে দিল্লির উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে চিনও। সরকারি সূত্রে খবর, গত কাল উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে চিনা সেনার দু’টি কপ্টার। প্রায় মিনিট পাঁচেক আকাশসীমায় থেকে চিনের দিকে ফিরে যায় তারা। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। মার্চ মাস থেকে এ নিয়ে চার বার ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করল চিনা কপ্টার।
১৯৬২ সালের যুদ্ধে লাদাখ ও অরুণাচলে অনুপ্রবেশ করলেও হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডের (তখন উত্তরপ্রদেশের অংশ) সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেনি চিনা সেনা। ২০০০ সালের জুন থেকে হিমাচল-উত্তরাখণ্ড সীমান্তের কয়েকটি বর্ডার পোস্ট ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)-র জওয়ানেরা নিরস্ত্র অবস্থায় পাহারা দেন। ওই পোস্টগুলিতে তাঁরা সাদা পোশাকেও থাকেন। ওই এলাকার একটি বড় অংশকেও চিনের অংশ বলে মনে করে বেজিং। চিনের কাছে ওই এলাকা ‘ইউ-জে’ নামে পরিচিত। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানো নিয়ে আলোচনার সময়ে উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি, কাউরিল ও হিমাচলের শিপকির মতো কয়েকটি বর্ডার পোস্টে আইটিবিপি-র জওয়ানদের নিরস্ত্র অবস্থায় সাদা পোশাকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। এই পদক্ষেপ করে বেজিংয়ের প্রতি সদর্থক বার্তা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কয়েক বার ওই এলাকায় চিনা অনুপ্রবেশ হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধের পাশাপাশি চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পে যোগ দেয়নি ভারত। কিন্তু নেপাল ওই প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। মদেশিয় বিক্ষোভে ভারতের মদতের অভিযোগ ঘিরে নেপালে এখন দিল্লি-বিরোধী মনোভাব প্রবল। এই পরিস্থিতিতে লাদাখের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও অনুপ্রবেশ করে চিন স্নায়ুর চাপ বাড়াতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেনা সূত্রে খবর, গত কাল যে দু’টি চপার চামোলিতে ঢুকে এসেছিল সেগুলি চিনের ‘ঝিবা অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ শ্রেণির। মিনিট পাঁচেক ভারতের আকাশসীমায় থেকে তারা ওই এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছবি তুলেছে বলে মনে করছেন সেনা কর্তারা। তাঁদের মতে, হেলিকপ্টার পাঠানোর আগে ‘টুপোলভ-টিইউ-১৫৩এম’ বিমান থেকেও নজরদারি চালিয়ে থাকতে পারে চিনা সেনা।