শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কেরলে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আজ শীর্ষ আদালতে দু’টি আর্জি পেশ হয়েছে।
দু’টি আর্জির মধ্যে একটি পেশ করেছেন ‘ন্যাশনাল আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি শৈলজা বিজয়ন। অন্যটি পেশ করেছে কেরলের সমাজের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সংগঠন ‘নায়ার সার্ভিস সোসাইটি’, পান্ডালামের রাজপরিবার ও শবরীমালার মূল পুরোহিত। ‘ন্যাশনাল আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি শৈলজা আর্জিতে জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ঈশ্বর আয়াপ্পার লক্ষ লক্ষ ভক্তের মৌলিক অধিকারে হাত পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা কেউ আয়াপ্পার ভক্ত নন। আর্জিতে বলা হয়েছে, ‘‘দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশও লক্ষ লক্ষ মানুষের বোধবুদ্ধি ও মতামতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’’
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় কেরলে। যোগ দেয় বিজেপি ও আরএসএস। কোচিতে বৈঠকও ডেকেছে তারা। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করবে রাজ্য। ভক্তদের সঙ্গে লড়াই করা রাজ্যের কাজ নয়। তাঁদের স্বার্থও রক্ষা করা হবে। রাজ্য ভক্তদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি। কেরলের শাসক দল সিপিএমের দাবি, শবরীমালা ঘিরে আবেগকে রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতি নষ্ট করতে ব্যবহারের চেষ্টা করছে বিজেপি-আরএসএস।