রাহুলের টুইট।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে তাঁর নামে সংগ্রহশালা উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে গিয়েছিলেন লালকেল্লায়। সকালেই টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। সেই টুইটে তিনি সাফ লিখে দিয়েছেন— ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট নেতাজি মারা গিয়েছেন। রাহুলের এই টুইটের পরে কিছু ক্ষণ আলোড়ন চলে রাজধানীতে। তবে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর রাজনৈতিক অভিষেকের খবর সংবাদমাধ্যমে আসতেই প্রচারের সব আলো সে দিকে ঘুরে যায়।
সুভাষচন্দ্রের এই মৃত্যুদিনের বিষয়টি নিয়ে কিছু দিন আগেই সংসদীয় স্টাফ লাইব্রেরির কাছে আপত্তি জানায় তৃণমূল। কারণ ওই লাইব্রেরির পক্ষ থেকেও একই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল সাংসদদের কাছে। অর্থাৎ বিমান দুর্ঘটনাতেই যে নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল, তা মেনে নেওয়া হয়েছে। আজ অবশ্য তৃণমূল রাহুলের টুইট নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি। বরং কংগ্রেস নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলা হয়েছে মৃত্যুদিনটা উহ্য রাখতে। কারণ সরকারের মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, ওই দিন তাইওয়ানের কোথাও কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি।
তবে নেতাজির প্রপৌত্র এবং তৃণমূলের সাংসদ সুগত বসু কার্যত কংগ্রেসের টুইটকে সমর্থন করেই বলেছেন, ‘‘নেতাজি দেশের একমাত্র প্রথম সারির নেতা, যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর তারিখ ঐতিহাসিক সত্য। আমার বইয়েও (হিজ ম্যাজেস্টিস অপোনেন্ট) এ নিয়ে আগে লিখেছি। তবে নেতাজির জন্মদিনে এ নিয়ে বিতর্ক চাই না।’’