সরকারকে কড়া বার্তা শীর্ষ আদালতের। ফাইল চিত্র
হিংসায় উস্কানি দেয় টেলিভিশনের এমন অনুষ্ঠান এবং খবর কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে যে সব আইন রয়েছে তা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করার পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের বক্তব্য, ‘উস্কানি বন্ধ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু সরকার এ সব ইস্যুগুলি আয়ত্তে আনতে কিছুই করেনি।’
গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছিল। সে সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ বৃহস্পতিবার তুলেছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে-র নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এমন পরিস্থিতিতে বিচারপতিরা ‘পরিচ্ছন্ন এবং বস্তুনিষ্ঠ’ সাংবাদিকতার উপর জোর দিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে ওই বেঞ্চ কড়া ভাষায় বলে, ‘‘বাস্তব হচ্ছে, একাধিক অনুষ্ঠানে উস্কানি দেওয়া হয় এবং আপনার সরকার এ ক্ষেত্রে কিছুই করে না।’’ এই প্রসঙ্গে করোনা অতিমারির সঙ্গে তাবলিঘি জামাতের সমাবেশকে জড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের নানা ‘উস্কানিমূলক’ রিপোর্টিংয়ের কথাও এ দিন তুলে ধরেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের মতে, ‘‘ওই রকম টিভি অনুষ্ঠান একটি সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না।’’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কিছু খবরের উপর নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষারই একটা অঙ্গ। আমি জানি না, আপনারা কী করে এ সব ক্ষেত্রে অন্ধ থাকতে পারেন। আমি আক্রমণাত্মক কিছু করার কথা বলছি না, কিন্তু আপনারা তো কিছুই করছেন না। ’’ এ নিয়ে সব পক্ষকেই আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পর ফের শুনানি হবে মামলাটির।