ছবি: সংগৃহীত।
বিমান বাড়লেও দুর্ভোগ মিটছে না দক্ষিণ অসমের যাত্রীদের। একে তো ছোট টার্মিনাল। তার উপরে নৈশ অবতরণে বায়ুসেনার আপত্তি। সূর্য ডুবু ডুবু হলেই বাতিল হয়ে যায় বিমানের ওঠানামা। নেই খাওয়ার ব্যবস্থাও।
কুম্ভীরগ্রাম (শিলচর) বিমানবন্দরের ডিরেক্টর নন্দকিশোর দেওলি জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনাল ভবনের জন্য জেলা প্রশাসন ১১৬ একর জমির ব্যবস্থা করেছে। তবে হস্তান্তর এখনও বাকি। সে কাজ শেষ হলে টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি হতেও বছর পাঁচেক সময় লাগবে।
তবে নৈশ অবতরণের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে কি না, বলতে পারছেন না এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর। শিলচর বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) বায়ুসেনার নিয়ন্ত্রণে। খুব সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিমান দেরির জন্য শিলচরে নামতে পারেনি। বায়ুসেনার বক্তব্য, এটিসি-তে কর্মীদের কাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। উড়ানের সময়সূচি মেনে তা স্থির করা হয়। কিন্তু ওই বিমান সংস্থার বিকেলের উড়ান প্রায় রোজ দেরি করে। বায়ুসেনার বক্তব্য, নিয়মিত রুটিন-ভাঙা সম্ভব নয়। বিমান সংস্থা অবশ্য দেরির অভিযোগ মানতে নারাজ।
শিলচরে নৈশ অবতরণের যাবতীয় ব্যবস্থা থাকার পরও কেন সেই সুবিধে মিলছে না, দফায় দফায় সংসদের ভেতরে-বাইরে তা নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৫ মার্চ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শিলচরের ওয়াচ টাওয়ার রাত আটটা পর্যন্ত কাজ করবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়। বিমানের নৈশ অবতরণের কথা খেয়াল রেখেই যে এই সিদ্ধান্ত, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু এর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে বিমানবন্দরের ডিরেক্টর এ বিষয়ে তাঁর ‘সীমাবদ্ধতা’র কথা উল্লেখ করেন। স্পষ্ট করে কিছু বলতে নারাজ বায়ুসেনার স্থানীয় কর্তারাও।