ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আর একই দিনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বললেন, “পশ্চিমবঙ্গকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।” আজ ত্রিপুরায় বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
বক্তৃতায় মানিক বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন। তাঁর চেষ্টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার প্রসার হয়েছিল। ১৯৩৭ সালের সমাবর্তনে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার জন্য তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল। এরই সূত্র ধরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দেখে মনে ভীষণ দুঃখ হয়। ওই রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা ওই ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গকে একটি মিনি পাকিস্তানের মতো বানিয়ে দিয়েছেন, যা খুবই বেদনাদায়ক।’’ অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত-সহ অন্য নেতারা ছিলেন।
মানিকের মন্তব্যের পাল্টা তাঁদের তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘বিজেপি মূর্খের দল। অন্যদেরও মূর্খ ভাবছে। ত্রিপুরাকে ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে পারবেন কি না, তা সে রাজ্যের মানুষ ঠিক করবেন। বাংলাকে পারবেন না। তাই এ সব কুৎসিত কথা বলছেন।’’ সুখেন্দুর মতে, ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো হয়তো এ রাজ্য নিয়ে কোনও ‘চক্রান্তের’ মতলব আছে বিজেপি নেতাদের। কিন্তু লাভ হবে না। বাংলাকে ওই ছাঁচে ফেলতে না পারার জন্য সারাজীবন তাঁদের দুঃখ করে যেতে হবে।