সুখেন্দুশেখর রায়। ফাইল চিত্র।
বুধবার অপরাধী শনাক্তকরণ বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে হঠাৎই পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তার জবাব দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায় অভিযোগ তুললেন, অমিত শাহের আসন্ন উত্তরবঙ্গ সফরের লক্ষ্য হল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া। পাশাপাশি দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনিশের লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহের রোড-শো থেকে কলকাতায় যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তার পরিণামে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়। সে ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন সুদীপ।
বুধবার অমিত শাহ রাজ্যসভায় অভিযোগ করেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই।” তিনি অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের বলেন, “বাংলায় গেলে প্রাণ খোয়াতে পারেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর উপরেও আগুনের গোলা ছোঁড়া হয়েছিল।
গত কালই সুখেন্দুশেখর রায় এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে জানিয়েছিলেন, বিজেপি এখনও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মানুষের দেওয়া রায় মেনে নিতে পারছে না। আর সে কারণেই বার বার এই অভিযোগ আনছে। আজ সুদীপবাবুর কথায়, “বিধানসভা ভোটের ফলাফলের সকাল পর্যন্ত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বলে গিয়েছেন, ইস বার দো শো পার! যেখানে আইন শৃঙ্খলার অবস্থা নাকি এতটাই খারাপ যে গেলেই খুন হয়ে যেতে হয়, সেখানে কী করে তাঁরা ২০০ আসনেরও বেশি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন?” তিনি বলেন, “প্রতিপক্ষের উপর হামলা আমরা কেন করব? জে পি নড্ডার গাড়ির উপর কিছু ঢিল পাটকেল পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র নিন্দা করেন। বরং অমিত শাহের মিছিল থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তিনি নীরব কেন?”
অন্য দিকে সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, “অমিত শাহ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিতে। ব্রিটিশরা ভারত ভাগ করতে পারলেও বিজেপি আর সেটা পারবে না। বাংলার মানুষ বুক দিয়ে রাজ্যের সংহতি রক্ষা করবেন।” এই বিষয়ে তৃণমূলের লোকসভার প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় গত কালই বলেন, “অমিত শাহ নিজে এত বার বাংলায় এসেছিলেন। তিনি কি খুন হয়েছেন? জে পি নড্ডা খুন হয়েছেন? বিমান বোঝাই করে বিজেপি নেতারা দলে দলে এসেছিলেন ভোটের সময়। তাঁরা কি কেউ খুন হয়েছেন?”