প্রতীকী ছবি-
রাস্তার মধ্যেই ব্লেড দিয়ে পেট চিরে জরায়ু থেকে বাচ্চা বের করে আনলেন এক মহিলা। গত ২৩ ডিসেম্বর এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার মারেডুমিল্লি মণ্ডল এলাকায়। এই ঘটনায় দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভগ্ন চেহারাটা ফের প্রকাশ্যে এল।
ঠিক কী হয়েছিল?
প্রসব বেদনা ওঠায় স্বামী সিথানা ডোরার সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন কিন্তুকুরু গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের কে লক্ষ্মী রামপাচোড়াভরম। আদিবাসী ওই গ্রাম থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। সেই পথ পেরতে গ্রামের বাসিন্দাদের একটা পাহাড় পেড়িয়ে বড় রাস্তায় পৌঁছতে হয়। কিন্তু, পাহাড় পেরনোর আগেই ওই মহিলার প্রসব যন্ত্রণা চরমে ওঠে। বড় রাস্তায় পৌঁছলে তবেই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা সম্ভব। ফলে বাধ্য হয়েই সেখানেই সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন কে লক্ষ্মী। ব্যাগে থেকে একটি ব্লেড দিয়ে নিজেই নিজের পেট চিরতে শুরু করেন তিনি। খানিক ক্ষণের চেষ্টায় পেট চিরে জরায়ু থেকে সন্তান বের করে আনেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই মহিলা ও সদ্যোজাতকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে রামপাচোড়াভরম জেলা হাসপাতালে পৌঁছে দেন। ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার গৌতম যোগী জানিয়েছেন, আপাতত দু’জনের অবস্থাই স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: আটক সেই সন্তোষ, তবে সন্দেহ অন্যত্রও
এই নিয়ে পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিলেন কে লক্ষ্মী। সন্তান জন্মানোর আগেই অবশ্য বেশ কয়েক বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁকে কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসেকরা। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ না শুনেই কে লক্ষ্মীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর আত্মীয়েরা।