ধসের কারণে ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। ছবি: পিটিআই।
একের পর এক প্রকৃতির রোষে আছড়ে পড়ছে হিমাচল প্রদেশে। মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে যখন বিপর্যস্ত হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্য, শুক্রবার সকালে সেখানে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের লাহুল-স্পিতিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। যদিও এই কম্পনের জেরে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বৃষ্টি আর ধসে যখন নাজেহাল এই রাজ্য, তার মধ্যেই ভূমিকম্পের ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়েছে। জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, নতুন কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসবে না তো আবার?
গত কয়েক দিন ধরেই হিমাচলের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার বৃষ্টি পরিমাণ আরও বাড়ে। শিমলা, মান্ডি এবং কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। অসমর্থিত সূত্রে খবর, রাজ্যে ধস এবং বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫০ জন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের হিসাব বলছে, ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শিমলা, মান্ডি এবং কুলুতেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
শিমলার কাছে রামপুরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। তার জেরে নিরমন্ড, সেঞ্জ, মলানা এবং মান্ডির পধরে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়। সমেজ খুড় নালার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হয়ে যান ৩৬ জন। কুলুর মণিকর্ণ এলাকার মলানায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মলানা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। আর বিপাশা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে।