ফাইল চিত্র।
কাগজের ব্যালট ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। তারই মধ্যে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রের ব্যাপারে জেলাশাসকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বহু কর্তার মতে, ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে কমিশন-কর্তাদের রাজ্য সফর এবং জেলাশাসকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন এই প্রথম।
ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বা বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র হল বোতাম টিপে ভোটদানের যন্ত্র। আর ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েব্ল পেপার অ়ডিট ট্রেল) হল সেই যন্ত্র, যা দিয়ে ভোটদাতার ভোট নির্দিষ্ট প্রার্থীর ঘরে গেল কি না, তা যাচাই করা যায়।
বিভিন্ন সময়ে ইভিএম নিয়ে কারচুপির অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়ত। তবে তিনি জানান, ইভিএমের পরিচালকদের কখনও কখনও মনঃসংযোগে ঘাটতি দেখা দেয়। এই ঘাটতির মোকাবিলা করাও প্রশিক্ষণের অন্যতম লক্ষ্য।
এ রাজ্যে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর জেলাশাসকদের ইভিএমের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। প্রশিক্ষণ দিতে আসার কথা কমিশনের আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের কর্তাদের। থাকার কথা ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট প্রস্তুতকারক সংস্থা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল) এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল)-এর ইঞ্জিনিয়ারদেরও। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একে ‘ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং’ বলছে কমিশন। এত দিন ইভিএম আসার পরে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের কর্তারা তা পরীক্ষা করতেন। বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হত জেলায়। সেখানেই প্রশিক্ষণ হত।
কমিশনের কর্তাদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে সব বুথেই ইভিএমের সঙ্গে থাকবে ভিভিপ্যাট। তাই জেলাশাসকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে কমিশন-কর্তাদের একাংশের অভিমত। আধিকারিকদের অন্য অংশ জানাচ্ছেন, ভোট হওয়ার কথা নতুন ‘ভার্সন’-এর ‘এম-থ্রি’ ইভিএমে। ভোট পরিচালকদের তার খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। রাজ্যের ন’টি জেলার জন্য বুধবার প্রথম ‘এম-থ্রি’ ভার্সানের বেশ কিছু ইভিএম এসেছে।