প্রস্রাবকাণ্ড নিয়ে সবই জানতেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। ফাইল চিত্র।
বিমানে প্রস্রাবকাণ্ড নিয়ে অবহিত ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফে এই খবর জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বিমানে থাকা কর্মীদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তাঁর তরফে গত ২৭ নভেম্বর, অর্থাৎ ঘটনার এক দিন পর সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মেল পাঠানো হয়। এই মেলে ঘটনার দিন বিমানে কী কী হয়েছে, তা সবিস্তারে লিখে জানানো হয়। মেলের প্রাপকরা যে মেলটি পড়েছিলেন, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সংবাদ সংস্থা।
যাঁদের এই মেল পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের ভিতর যাত্রীদের পরিষেবার দায়িত্বে থাকা ইনফ্লাইট সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের প্রধান, এমনকি মানবসম্পদ বিভাগের মুখ্য আধিকারিকও। এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রস্রাবকাণ্ডের বিষয়টি অনেক পরে তাদের নজরে এসেছে। এই না-জানার কারণেই জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই বিমান থেকে নামতে পেরেছেন এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র।
এএনআইয়ের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিটি মেল পাওয়ার পরই, তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রাপকরা। এয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন আগেই জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার তদন্তে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তৈরি করবে সংস্থা। নতুন তথ্য বলছে, ২৭ নভেম্বর সন্ধেতেই প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযোগকারী বৃদ্ধার জামাই ক্যাম্পবেলকে অভিযোগ জানিয়ে মেল করেছিলেন। সেই মেলও তিনি পড়েন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক-দিল্লি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের বিজ়নেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শঙ্করের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই বৃদ্ধাই প্রস্রাব করে ফেলেছেন। এই ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে পরিস্থিতি মোকাবিলায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। বেঙ্গালুরু থেকে শঙ্করকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।