পুলিশ ভ্যানে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
সর্বভারতীয় স্তরে ‘শহিদ দিবস’-কে পৌঁছে দিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার ২৮তম শহিদ স্মরণে শামিল হতে গিয়ে ত্রিপুরায় গ্রেফতার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার রাত থেকেই বিজেপি-র লোকজন তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। তার পর বুধবার সকালে গৌরাঙ্গনগরে অনুষ্ঠান স্থল থেকে আচমকাই দলের নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হয়। যদিও পুলিশের দাবি, করোনা বিধি ভেঙে জমায়েত করাতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, ত্রিপুরা, অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যেও ‘শহিদ দিবস’ পালন করছে তৃণমূল। আগরতলা-সহ ধর্মনগর, উদয়পুরের মতো ত্রিপুরার বেশ কিছু জেলায় বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। তার মধ্যেই বিপত্তি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, ‘‘কাল রাত থেকে সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি। কৈলাশহরের গৌরাঙ্গনগরে কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম রাতে। সেখানেও আক্রমণ করে বিজেপি-র গুন্ডাবাহিনী। পুলিশ এবং প্রশাসনকে পদক্ষেপের করতে বলেছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি।’’
আশিসলাল জানিয়েছেন, বুধবার সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা তোলেন তাঁরা। তার পর শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন। তখনই আচমকা গৌরাঙ্গনগর থানা থেকে পুলিশ এসে পৌঁছয়। কোভিড বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে একে একে সকলকে গ্রেফতার করে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে মোট ৮২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত তাঁদের টাউন হলে রাখা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, কোভিড বিধি মোটেই লঙ্ঘন করেনি তারা। ৫০ জনকে নিয়ে সমস্ত নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন সকলে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে।
শহিদ দিবসের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ নিয়ে টুইটারে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এই ধরনের হামলা করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না। শহিদ দিবসে আমি জানিয়ে রাখতে চাই, নিষ্ঠুর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না তৃণমূল।’