মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ।—ফাইল চিত্র।
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তার দাবিতে ফের সরব হল তৃণমূল। কেন্দ্রের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ এবং রাজ্যের পাওনা বাবদ আরও ৩৮ হাজার কোটি টাকার দাবিই ফের সামনে এনেছে তারা। অন্য দিকে, রাজ্যে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েও যেখানে পাওয়া যাচ্ছে না, তাতে আবার বাড়তি কিছু করা কী ভাবে সম্ভব— সেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের শাসক দল।
লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেছেন, ‘‘সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো কনফারেন্সেই আমরা বলেছিলাম যুদ্ধ করতে গেলে সহায়তা চাই। রাজ্যের আর্থিক প্যাকেজ দরকার ২৫ হাজার কোটি টাকার। তা ছাড়া, রাজ্যের পাওনা আছে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রের নীরবতা আমাদের অদ্ভুত লাগছে! এত কার্পণ্য কেন?’’ স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসা ‘আঞ্চলিক বৈষম্যে’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমাদের সহায়তা দিন, আমরা করোনা-যুদ্ধে সব রকম চেষ্টা করব। সহায়তা না দিলে অন্যায় হবে।’’
এই পরিস্থিতিতেই দিলীপবাবু তাঁর চিঠিতে যে সব দাবি করেছেন, তার মধ্যে আগামী তিন মাস গরিব পরিবারপিছু এক হাজার টাকা এবং ৬ মাস তাঁদের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন ৬ মাসের জন্য দ্বিগুণ করার কথাও আছে। কিন্তু সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যেখানে কোনও আর্থিক সহায়তা রাজ্যকে দিচ্ছে না, সেখানে এই বাড়তি খরচের সংস্থান কোথা থেকে আসবে? দিলীপবাবু লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এ রাজ্যে চালু করে রাজ্য নিজের কোষাগারের ৩১৩১ কোটি টাকা বাঁচাক। পাশাপাশিই বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘‘আগে তো রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করে কেন্দ্রকে জানাক যে, তারা স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্তদের বেতন দ্বিগুণ করছে। প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই আমরাও কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইব।’’
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফেরানো হবে কেবল উপসর্গহীন ভারতীয়দের
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় নিহত আইবি অফিসারের পরিবারকে ১ কোটি ক্ষতিপূরণ
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)