Provident Fund

প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে কমিটিতে সরব তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় এমন সংস্থা রয়েছে, যারা নিয়ম মেনে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থ জমা করছে না। অথচ শ্রমিকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫ ১০:২৩
Share:
অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।

অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। — প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম নিয়ে শ্রম মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের দাবি, আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় স্থায়ী কমিটিতে অভিযোগ তুলেছেন, হলদিয়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় এমন সংস্থা রয়েছে, যারা নিয়ম মেনে শ্রমিকদের
প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থ জমা করছে না। অথচ শ্রমিকদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। সংস্থার তরফের অর্থের সঙ্গে সেই টাকাও জমা হচ্ছে না। এ নিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী গত এক বছরে কেন্দ্রকে তিন বার চিঠি দিলেও এক বারও উত্তর মেলেনি।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের চা-বাগানেও একই সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ঋতব্রত। তাঁর অভিযোগ, কোন চা-বাগানের মালিক শ্রমিকদের কত টাকা পিএফে বাকি রেখেছেন, তা রাজ্য সরকারকে জানানো হচ্ছে না। জলপাইগুড়ির আঞ্চলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড দফতরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার এই তথ্য না পেলে এফআইআর করবে কী ভাবে? সূত্রের দাবি, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গাও এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে তৃণমূল সাংসদকে সমর্থন করে বলেন, জলপাইগুড়ির পিএফ অফিস ঘুঘুর বাসা হয়ে উঠেছে।

বৈঠকে ঋতব্রত প্রশ্ন তোলেন, দেশের বিড়ি শ্রমিকদের অর্ধেক পশ্চিবঙ্গের। চার ভাগের এক ভাগ শুধু মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদের তারাপুরে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। ৬৫ বেডের হাসপাতালে ১০ জন ডাক্তারের অনুমোদিত পদ থাকলেও মাত্র ২ জন ডাক্তার রয়েছেন। তিনটি অপারেশন থিয়েটার কাজ করে না। এক্স-রে মেশিনও চলে না। পাঁচ জন নার্স আছেন মাত্র। শিলিগুড়ি, হলদিয়ার ইএসআই হাসপাতাল রাজ্য সরকার চালাতে চেয়েছে। ডাক্তার-নার্স নিয়োগ হলে গেলেও ইএসআই কর্তৃপক্ষ এখনও হাসপাতাল রাজ্যের হাতে তুলে দেননি। এ নিয়ে প্রশ্নে কেন্দ্রীয় শ্রমসচিব সুমিতা দারওয়া জানান, তিনি লিখিত ভাবে উত্তর দেবেন। খাদ্যশস্যের মজুতের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক করার দাবিও তুলেছেন ঋতব্রত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement