সংসদ। —ফাইল চিত্র।
একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযাগে সংসদে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদেরা। লোকসভায় তার পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও।
গত দু’বছর ধরে লাগাতার সংসদের ভিতরে ও বাইরে বাংলায় একশো দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছেন তৃণমূল সাংসদরা। লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে আজ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক বরাদ্দ বকেয়া রয়েছে, তা এখনও দেওয়ার নাম করছে না মোদী সরকার। তিনি বলেন, “কেন এ ভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? কেন এ নিয়ে কোথাও কোনও কথা বলা হচ্ছে না? আপনারা কি বাঙালিদের পছন্দ করেন না? সেই কারণেই কি বাংলাকে তার ন্যায্য বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করছেন?”
জবাবে শিবরাজ সিংহ চৌহান জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা তাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি। উল্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যা করা যায় না। এ ভাবে নাম পাল্টে ফেলে অপরাধ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। যদি নির্দিষ্ট খাতের টাকা ওই খাতে খরচ না করা হয়, তা হলে তা আটকে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।’’ শাসক শিবিরের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এবং সেই দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।
অন্য দিকে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ মালা রায় আজ লিখিত প্রশ্নে জানতে চান, রাজ্যওয়াড়ি ভাবে একশো দিনের কাজে কত শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে গত ছ’মাসে। জবাবে মন্ত্রক থেকে দেওয়া উত্তরে দেখা যায়, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এই সংখ্যা শূন্য অর্থাৎ কাউকেই কাজ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি লোকসভায় সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কত অর্থ বরাদ্দ হয়েছে এবং প্রদান করা হয়েছে, বর্তমান বছরে এই পরিমাণ কত, এই অর্থে কতগুলি গ্রামে সড়ক সংযোগ হয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান। লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসোয়ান জানান, বর্তমান বছরে নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে ১,৮৪৭.৮০৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৪-২৫ সালের জন্য এই প্রকল্পের প্রথম কিস্তি অর্থ চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।