তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব। ছবি পিটিআই।
ত্রিপুরায় নির্বাচনের প্রচারে সবাইকে সমান অধিকার দিতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার পরেও বিজেপির সন্ত্রাস বাহিনী একের এক হামলা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তৃণমূলকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে অনুমতি দিচ্ছে না। আবার যেখানে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে, সেখানেই বিজেপির সন্ত্রাসবাহিনী আক্রমণ করছে। এর প্রতিবাদে আজ আগরতলা ক্যাম্প অফিস থেকে মোমবাতি নিয়ে গোবিন্দবব্বভ পন্থ হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল।
নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতেও শাসক বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে৷ আটক করা হয়েছে তৃণমূলের ৪ জন কর্মী-সমর্থককে৷ কৈলাশহর মোটরস্ট্যান্ডের কাছে আজ গাড়ি থামিয়ে তৃণমূল নেতা আশিস লাল সিংহকে মারধর করে আট-দশ জন। তাঁদের তিনি চিনতে পারেননি। তবে ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, "আমার জীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম। কেউ বিরোধী দল করতেই পারেন, যা হচ্ছে, তা ভাল হচ্ছে না।"
আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে উদ্দেশ্য করে সুস্মিতা বলেন, “আপনার ক্ষমতা থাকলে, ভোটারদের বুথে পৌঁছতে দিন, তা হলে বুঝতে পারবেন, তৃণমূল কী। আপনাদের পায়ের তলায় মাটি সরে যাবে।”
বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সন্ত্রাসীরা ত্রিপুরায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। মানুষ তাদের ঘৃণা করে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন নেতারা সিপিএমের প্রশংসা করছেন। এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে, সিপিএম-তৃণমূল গোপন আঁতাত হয়েছে। তৃণমূল গোপনে সিপিএমের হাত ধরে সারা রাজ্যে এই অপকর্মগুলি চালাচ্ছে।”