তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। —ফাইল চিত্র।
আগামী সপ্তাহে সংশোধিত ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ হওয়ার কথা। ওই বিল মুসলিম সমাজের স্বার্থবিরোধী বলে দাবি করে আগেভাগেই পথে নেমেছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠন। মুসলিম সংগঠনগুলির মতে, ওই বিল ওয়াকফের মূল কাঠামোই বদলে দেওয়ার জন্য আনা হচ্ছে। মুসলিম সমাজের ওই আশঙ্কাকে মাথায় রেখে ওই বিল পেশ না করার জন্য আজ লোকসভার শূন্য প্রহরে সরকারের কাছে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, আজ সৌগত যখন ওই আবেদন জানাচ্ছেন, তখন স্পিকারের পদে ছিলেন জগদম্বিকা পাল। ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার জন্য যে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠিত হয়েছিল, সেই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। জেপিসি বৈঠক চলাকালীন জগদম্বিকার বিরুদ্ধে বিরোধীদের আপত্তি অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি বিরোধীসাংসদেরা বিলের বিভিন্ন ধারার বিরুদ্ধে যে লিখিত আপত্তি জানিয়েছিলেন, সেগুলি পর্যন্ত গোড়ায় জগদম্বিকার নির্দেশে নথিভুক্ত হয়নি বলে সরব হন বিরোধীরা। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপে সেগুলি নথিভুক্ত হয়। আজ সেই সূত্র ধরেই সৌগত বলেন, ‘‘ওই বিলে বিরোধীদের কোনও আপত্তি নথিবদ্ধ হয়নি। তা ছাড়া ওই বিলের কারণে মুসলিম সমাজের মধ্যে অসন্তোষ তৈরিহয়েছে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড দেশ জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।’’ সৌগতের মতে, ওই বিলের বিরুদ্ধে মুসলিম সমাজের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেওয়ায়, সরকারের উচিত ওই বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া।
ওয়াকফ সংক্রান্ত জেপিসি কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা থাকায় সৌগত যে নিজের বক্তব্যে আসলে তাঁকেই ঘুরিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারেন উত্তরপ্রদেশের ওই সাংসদ। তাই স্পিকার হয়েও সরকারের হয়ে বলার দায়িত্ব কার্যত নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। জগদম্বিকা জানান, ‘‘যে বিল এখনও সংসদে পেশ হয়নি, তা নিয়ে কোনও ভাবেই সংসদে আলোচনাহতে পারে না।’’