— প্রতীকী চিত্র।
বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও, শতাংশের হিসাবে ইউপিএ আমলের চেয়ে বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেলের বরাদ্দ কার্যত এক-তৃতীয়াংশে এসে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ বার পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেল খাতে ১৩,৯৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে বাজেটের পরে দাবি করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গের জন্য গড়ে যে অর্থ (৪৩৮০ কোটি) বরাদ্দ করা হত, তার চেয়ে বর্তমানে চার গুণ বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। আজ রাজ্যসভায় রেলের কার্যপদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, মমতাবালা ঠাকুরেরা দাবি করেন, ‘‘ইউপিএ জমানায় রেল বাজেটের ১৬.৮৫ শতাংশ বরাদ্দ পেত পশ্চিমবঙ্গ, যা এখন কমে ৫.৪৬ শতাংশে নেমেছে।’’ তাঁদের মতে, বাজেট বরাদ্দ কমেছে তামিলনাড়ু, কেরলের মতো অন্যান্য বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিরও। আজ দোলাদের সুরেই অন্য বিরোধী দলের সাংসদেরা রেলের বেসরকারিকরণ ও যাত্রী-সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানোর বিষয়টি নিয়ে সরব হন।
মমতা রেলমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের জন্য একাধিক রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময়ে একাধিক প্রকল্পের ঘটা করে শিলান্যাসও করেন তিনি। তা নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য আজ বিতর্কে বলেন, ‘‘কেবল শিলান্যাসই হয়েছে। রাজ্যজুড়ে তখন এত শিলান্যাস হয়েছিল, মনে হত প্রস্তর যুগে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবোপযোগিতা না থাকায় অধিকাংশ প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়।’’ নিজের বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও সরব হন শমীক। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বাংলায় রেল প্রকল্পের শ্লথ গতির জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্যের অসহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সরব হন। আজ সে প্রসঙ্গে দোলা বলেন, ‘‘বিজেপির মন্ত্রীদের কাজই হল অসত্য বলা। রেলমন্ত্রী এ নিয়ে প্রমাণ দিন।’’