তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ফাইল চিত্র।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশনের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এক দিনও কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা না-হওয়া এই অধিবেশনের বাকি তিন দিনও সংসদ চলার কোনও আশা দেখছেন না বিরোধীরা। তবুও এই শেষ তিন দিন সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধীরা মোদী সরকারকে নিশানা করার জন্য একযোগে এবং পৃথক ভাবে উদ্যোগী।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কলকাতার ধর্নামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছিলেন, সেই বক্তব্যকে সে দিনই সংসদের দুই কক্ষে নোটিস আকারে জমা দেওয়া হয়েছিল আলোচনার জন্য। কিন্তু সে দিন লোকসভা এবং রাজ্যসভা অচল হয়ে যাওয়ায় সোমবারের জন্য ফের একই নোটিস জমা দিয়েছেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সংসদীয় ব্যবস্থাকে বাঁচানো নিয়ে আলোচনা চেয়েছে। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া এই নোটিস নিয়ে যে আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই তা ভাল করেই জানেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে মমতার ‘দিল্লি চলো’ ডাককে সংসদে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
ডেরেক জানিয়েছেন, “গত ছ’বছরে সাংসদদের দেওয়া কোনও নোটিসের উপরে একটি আলোচনাও হয়নি। ২০১৪ থেকে ২০২১-এর মধ্যে সংসদে পেশ করা ৩০১টির মধ্যে মাত্র ৭৪টি বিল আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিতে। সংসদকে অন্ধকার রুদ্ধ কক্ষে পরিণত করা হচ্ছে।” সোমবার বিকেলে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের উদ্যোগে বিরোধী দলের নেতারা একটি সম্মেলন করবেন চেন্নাইয়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক তাতে যোগ দেবেন ভিডিয়ো মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের দাবিতে ১৪টি বিরোধী দল যে মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্টে আগামী ৫ এপ্রিল তার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।