বারাণসী বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
সোনভদ্রে যাওয়ার আগে মির্জাপুরের কাছে যে ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে, ঠিক একই কায়দায় বারাণসী বিমানবন্দরে কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁদের প্রতিনিধি দলকে আটক করা হয়েছে বলে টুইটে জানান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন।
সোনভদ্র যাওয়ার জন্য শনিবার সকালে বারাণসীতে পৌঁছয় ডেরেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। অন্য দিকে, কংগ্রেসেরও একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছয় বারাণসীতে। সেই দলে ছিলেন আরপিএন সিংহ, রাজীব শুক্ল ও যতীন প্রসাদ। বারাণসী বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ।
কেন তাঁদের আটকানো হল— এই প্রশ্ন করায় পুলিশ জানিয়েছে, শীর্ষ মহলের নির্দেশেই তাঁদের আটক করা হয়েছে। কিন্তু কোন ধারায় আটকানো হয়েছে, পুলিশ তার সুনির্দিষ্ট কোনও উত্তর দর্শাতে পারেনি বলে দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলটির।
আরও পড়ুন: চুনার থেকে এক পা-ও নড়ব না, যোগী সরকারকে হুঁশিয়ারি প্রিয়ঙ্কার
আরও পড়ুন: অনলাইন শপিং সংস্থার নাম করে শহরে প্রতারণা, গ্রেফতার ৩
ডেরেক বলেন, “পুলিশকে জানিয়েছিলাম, সব রকম সহযোগিতা করতে রাজি আছি। পাশাপাশি এটাও বলেছিলাম আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাই। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও জানান, অনেকটা প্রিয়ঙ্কার মতোই তাঁদের অজ্ঞাতস্থানে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় পুলিশ। কিন্তু তাঁরা কোথাও যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
শুক্রবার সোনভদ্রে যাওয়ার পথে মির্জাপুরের কাছে আটকে দেওয়া হয় প্রিয়ঙ্কা-সহ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে। বাধার মুখে পড়ে রাস্তার উপর ধর্নায় বসে পড়েন। সেখান থেকেই প্রিয়ঙ্কাকে আটক করে পুলিশ। তার পর তাঁকে চুনার দুর্গের অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই কাটান তিনি। চুনার দুর্গ থেকেই তিনি যোগী সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দিলে এক পা-ও নড়বেন না।