Narendra Modi

Rajnath Singh: ২০২৯ অবধি বিকল্প নেই মোদীর: রাজনাথ

বাকি নেতারা যখন একে একে বিদায় নিয়েছেন তখন মোদী-শাহ জমানায় নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন বাজপেয়ী জমানার কৃষিমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২২ ০৮:০৭
Share:

নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প খোঁজার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন রাজনাথ সিংহ। ফাইল চিত্র।

২০২৯ সালের আগে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প খোঁজার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন রাজনাথ সিংহ। আজ দিল্লিতে ‘দ্য আর্কিটেক্ট অব দ্য নিউ বিজেপি’ নামে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিংহ বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘কিছু ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হতে চাইছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের কিছু করার নেই।’’

Advertisement

অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজেরা অতীত। বয়সের কারণে সক্রিয় নন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীরা। অটলবিহারী বাজপেয়ী জামানার দুই মন্ত্রী এত দিন টিকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায়। তার মধ্যে এ যাত্রায় বাদ গিয়েছেন মুখতার আব্বাস নকভি। রয়ে গিয়েছেন রাজনাথ সিংহ ও বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে কেবল নিতিন গডকড়ী। বিজেপিতে গডকড়ী কোনও দিনই গুজরাত শিবিরের কাছের লোক বলে পরিচিত নন। গডকড়ী এ যাত্রায় সংসদীয় বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে ভাবে দলের একাংশ প্রচার শুরু করেছে তাতে কত দিন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন তা নিয়ে ঘরোয়া ভাবে সংশয় প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের ওই নেতা।

বাকি নেতারা যখন একে একে বিদায় নিয়েছেন তখন এখনও মোদী-শাহ জমানায় নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন বাজপেয়ী জমানার কৃষিমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বিজেপি সূত্রের মতে, গত আট বছরে এক বারও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তো নয়, এমনকি ঘরোয়া ভাবেও একটি নেতিবাচক বাক্যও বলেননি রাজনাথ। উল্টে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। আজও যেমন বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেন, ‘‘সাংগঠনিক দক্ষতা, জমির সঙ্গে জুড়ে থাকা ও আমজনতার সঙ্গে আত্মিক ভাবে সংযুক্ত থাকার কারণেই বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদী।’’ রাজনাথের কথায়, ‘‘এক সময়ে উচ্চ মধ্যবিত্তের দল হিসেবে পরিচিত ছিল বিজেপি। কিন্তু সেই দলের পিছনে আজ যে আমজনতার সমর্থন তার পিছনে রয়েছে মোদীর দূরদৃষ্টি ও সাধারণ মানুষের মন বুঝতে পারার ক্ষমতা। সেই কারণে নোট বাতিলের ঠিক পরেই হওয়া হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে অনেকেই সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু মানুষের চাহিদা জানতেন মোদী। তাই জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। জনতার সঙ্গে জুড়ে থাকার ওই গুণই তাঁকে সফল জননেতা তৈরি করেছে।’’ রাজনীতির অনেকের মতে, গুজরাত শিবিরের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকলেও, প্রকাশ্যে সদ্ভাব বাঁচিয়ে চলা যেমন রাজনাথের কুর্সি থেকে যাওয়ার একটি কারণ, তেমনই বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নে রাজনাথের যে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা এই মুহূর্তে অন্য কোনও বিজেপি নেতার মধ্যে নেই। সেই কারণেও সম্ভবত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এখনও দলে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement