রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, ভোটের আগে রাহুল গাঁধীর নিরাপত্তাও আরও আঁটোসাঁটো করছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের সূত্র বলছে, এ ব্যাপারে সম্প্রতি যে নির্দেশিকা এসেছে, তাতে রোড-শো এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতেই কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে যে, ভোটের আগে এটা হয়তো রাহুলকে আরও বেঁধে রাখার ছক? মহারাষ্ট্রের এক কংগ্রেস নেতা জানাচ্ছেন, সুরক্ষার সঙ্গে নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে রাহুলের উপরে। সম্প্রতি রাহুল যখন মুম্বই গিয়েছিলেন, বিমানবন্দরে সাদা পোশাকের এক গোয়েন্দা কর্মীকে হাতেনাতে ধরা হয়।
বিজেপির এক নেতার অবশ্য বক্তব্য, নানা ধরনের ঝুঁকি বিচার করেই নেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। রাহুল এসিপিজির নিরাপত্তা পান। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, এসিপিজি সুরক্ষা উড়িয়ে রাহুল মোটরবাইকে কোথাও চলে যাচ্ছেন। এক বিজেপি নেতা এমনও বললেন, ‘‘বিদেশে যাওয়ার সময়েও রাহুল গাঁধী এসিপিজিকে জানান না। এক জন এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়া নেতা কী করে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারেন?’’ কংগ্রেসের একাংশ এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। রাহুলের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলে আসলে কংগ্রেস সভাপতির অবাধ গতিবিধি বেঁধে রাখার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাহুল আম জনতার সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন সভা বা রোড-শোয়ে গিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে জনতার কাছে চলে যান। ভোটের আগে তা বাড়বেই। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র হয়তো এই সব গতিবিধি আটকাতে চাইবে।
গত কালই জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা এত বাড়ানো হচ্ছে যে তাঁর কাছাকাছি আসতে এসপিজির ছাড়পত্র নিতে হবে মন্ত্রী-আমলাদেরও। এসপিজি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে নয়। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে আজ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই নির্দেশিকা নতুন কিছু নয়। মন্ত্রীদের ব্যাপারেও বিশেষ করে কিছু বলা হয়েছে, এমনটাও নয়।