— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বহরাইচের নেকড়ের আতঙ্কের স্মৃতি কাটতে না কাটতেই এ বার বাঘের হানা উত্তরপ্রদেশেরই রহমান খেরায়! বাঘের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। খবর প্রকাশ্যে আসতে সতর্ক হয়েছে বন দফতর। গ্রামবাসীদের রাতে বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, শুরু হয়ে গিয়েছে বাঘ ধরার তোড়জোড়!
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে লখনউ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরের রহমান খেরা গ্রামে বাঘটিকে দেখা গিয়েছে। মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপও। পায়ের ছাপগুলি দেখে মনে হচ্ছে, বাঘটি প্রাপ্তবয়স্ক। এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী ট্রাস্টের যৌথ দল। থার্মাল ড্রোন এবং ১২টি ট্র্যাপ ক্যামেরার সাহায্যে এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাঘ ধরতে পাতা হয়েছে ফাঁদও!
গ্রামবাসীদের দাবি, দিনের বেলায় ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বাঘটিকে প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন তাঁদের কয়েকজন। এর পরেই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়েরাই জানাচ্ছেন, গত কয়েকদিনে রহমান খেরায় বাঘের হানায় আক্রান্ত হয়েছে দু’টি নীলগাই। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে শ্বাপদ-হানার খবর এই প্রথম নয়। গত কয়েক মাস ধরে নেকড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে ছিল বহরাইচ। সেখানে এক দল মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় একাধিক শিশু-সহ অন্তত ন’জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও আহতের সংখ্যা ছিল ৫০-এর বেশি। দলে ছিল ছ’টি নেকড়ে। প্রায় প্রতি দিনই গ্রামবাসীদের পোষা হাঁস-মুরগি-ছাগল মেরে নিয়ে যাচ্ছিল ওই নেকড়ের দল। অনেক প্রচেষ্টার পর সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচটি নেকড়েকে ধরে বন দফতর। ষষ্ঠ নেকড়েটিকে বাগে পেয়ে পিটিয়ে মারেন গ্রামবাসীরা।