—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের শৌচালয়ে পড়ে রয়েছে সাত বছরের এক ছাত্রের গলাকাটা দেহ। চারপাশ ভাসছে রক্তে। আর মৃতদেহের পাশেই পড়ে রয়েছে রক্ত মাখা ছুরি। আজ, শুক্রবার সকালেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী হল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
নিহত ছাত্র প্রদ্যুম্ন ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় জি়্জাসাবাদের জন্য স্কুল বাসের চালক, কন্ডাকটর-সহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ এবং অস্ত্র আইনে ধারা (২৫)(৫৪) এবং (৫৯)-এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ স্কুলে আসে প্রদ্যুম্ন। ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ স্কুল থেকে শিশুটির বাড়িতে তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে ফোন আসে। মাত্র আধ ঘণ্টার ব্যবধানে এমন একটা ঘটনা কী ভাবে স্কুলের মধ্যে ঘটে গেল তা বুঝে উঠতে পারছে না মৃত ছাত্রের পরিবার।
আরও পড়ুন:
হায়দরাবাদের স্নুকার পার্লারে কর্মীকে ছুরির কোপ, গ্রেফতার তিন
মন্ত্রীর মেয়ে বলে বিদেশে পড়ার বৃত্তি পাইয়ে দেওয়া হল?
তবে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এই প্রথম নয়। এর আগে ২০ জানুয়ারি, ২০১৬-এ একটি ছ’ বছরের শিশুর (ওই স্কুলেরই ছাত্র) দেহ মেলে বসন্ত কুঞ্জের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাদে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় স্কুলের প্রিন্সিপল-সহ পাঁচ জনকে। ২০১৬-র সেই ঘটনায় স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বারের ঘটনায় আরও একবার স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।