Delhi Police

ট্যাক্স এজেন্টকে অপহরণ করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নিল দিল্লি পুলিশ!

পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির জিটিবি এনক্লেভ থেকে সেলস ট্যাক্সের ওই এজেন্টকে অপহরণ করেন তিন কনস্টেবল। এই কাজে তাঁদের সহযোগিতা করেন গৌরব নামে এক দুষ্কৃতী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৩:২২
Share:

অভিযুক্ত এক কনস্টেবলের খোঁজ চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

সেলস ট্যাক্সের এক এজেন্টকে অপহরণ করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণের আদায় করার অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের তিন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল সন্দীপ এবং রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য অভিযুক্ত কনস্টেবল অমিত এবং এক দুষ্কৃতীকে খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির জিটিবি এনক্লেভ থেকে সেলস ট্যাক্সের ওই এজেন্টকে অপহরণ করেন তিন কনস্টেবল। এই কাজে তাঁদের সহযোগিতা করেন গৌরব নামে এক দুষ্কৃতী। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ওই এজেন্টের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণও আদায় করেন তাঁরা। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।

জিটিবি এনক্লেভে পরিবারকে নিয়ে থাকেন ওই এজেন্ট। গত ১১ অক্টোবর কাজ থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এজেন্টের দাবি, শহদারা উড়ালপুল পার করতেই সাদা রঙের একটি গাড়ি ওভারটেক করে তাঁর পথ আটকায়। কেন পথ আটকানো হচ্ছে, এ কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামেন এবং তাঁকে মারধর শুরু করেন।

Advertisement

ওই এজেন্টের আরও দাবি, মারধরের পর সাদা রঙের ওই গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তিন জনের মধ্যে এক জন এজেন্টের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। শুধু তাই নয়, তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। যদি সেই টাকা দিতে না পারেন, তা হলে আটকে রেখে দেওয়ারও হুমকি দেন অপহরণকারীরা।

এজেন্ট আরও দাবি করেন, তাঁকে শহদরা জেলার স্পেশাল স্টাফের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও টাকার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এর পর অপহরণকারীরা এজেন্টকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। শুধু তাই নয়, আরও ৭০ হাজার টাকা এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে এক অপহরণকারীর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বাধ্য করা হয়। মোট দেড় লক্ষ টাকা আদায়ের পর ট্যাক্স এজেন্টকে ছেড়ে দেন অপরহণকারীরা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, অপহরণ এবং মুক্তিপণের মূল ষড়যন্ত্রী পলাতক কনস্টেবল অমিত। দিল্লি পুলিশের ৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত তিনি। অপহরণের জন্য ওয়াহিদ নামে এক অভিযুক্তের গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশের সন্দেহ, এই ঘটনায় এক সাব-ইনস্পেক্টরও জড়িত আছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement